মাঠে ফিরেই দলকে জেতালেন সঞ্জিত

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সঞ্জিত সাহার ভোগান্তির শুরু। এরপর কয়েক দফায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে অ্যাকশন। শুধরে ফিরেছেন। সবশেষে বিপিএলে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর এই অফ স্পিনার ফিরলেন আবার। মাঠে নেমেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জেতালেন গাজী গ্রুপকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2019, 01:29 PM
Updated : 2 April 2019, 01:59 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৪৯ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আগের সাত ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয় পাওয়া গাজী গ্রুপের জন্য এই জয় সুপার সিক্সের লড়াইয়ে টিকে থাকার ‘লাইফ লাইন’।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৫ রান তোলে গাজী গ্রুপ। উত্তরা রান তাড়ায় ৪.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৪২ রান তোলার পর নামে তুমুল বৃষ্টি। পরে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ১৮৮। দুই ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তারা ১৩৮ রানে।

২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সঞ্জিত। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সেরা ছিল ২৮ রানে ৪ উইকেট।

সকালে উইকেট ছিল বেশ স্যাঁতস্যাঁতে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা গাজী গ্রুপ বেছে নেয় সাবধানী ব্যাটিংয়ের পথ। মাইশুকুর রহমান ও মেহেদি হাসান ২২ ওভার উইকেটে থেকে গড়েন ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

৭৫ বলে ৪৪ করে আউট হন মাইশুকুর। ১০ বল বেশি খেলে মেহেদিও ফেরেন ঠিক ৪৪ রানে।

তিনে নেমে একটি করে চার ও ছক্কায় ২১ বলে ২০ রানে ফেরেন ইমরুল। আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে পাকিস্তানি কামরান গুলাম বিদায় নেন ১০ রানেই।

চারে নামা শামসুর রহমানই কেবল এক পাশ আগলে রান বাড়াচ্ছিলেন। আরেক পাশে দাঁড়াতে পারেননি কেউ। ৫৫ বলে ৫১ রান করা শামসুরকে ফেরান ইমন। গাজী গ্রুপ পারেনি আড়াইশ পর্যন্ত যেতে।

বোলিংয়ে দুই উইকেটের পর ইমন ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নেমে চমকে দেন দারুণ সব শটে। মেহেদির অফ স্পিনে দারুণ স্কয়ার ড্রাইভে চারের পর ছক্কা মারেন স্লগ সুইপে। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে গ্ল্যান্স করে বাউন্ডারির পর টানা দুই বলে ছক্কা মারেন কবজির দৃষ্টিনন্দন মোচড়ে।

৪.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই উত্তরার রান যখন ৪২, বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। ভারী বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টিতে দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুর হয়। ইমন আবারও শুরু করেন ঝড়। এবার দুই ছক্কা কামরানের এক ওভারে। ফিফটি স্পর্শ করেন ২৮ বলে।

৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মেহেদি। ফিরিয়ে দেন ১৬ রান করা তানজিদ হাসানকে। নিজের পরের ওভারে ইমনকেও বোল্ড করে দেন মেহেদি। উত্তরার ইনিংস পথ হারায় তাতেই। আর কেউ টানতে পারেননি দলকে।

মিডল অর্ডারে দুই উইকেটের পর শেষ দিকেও দুটি উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন সঞ্জিত।

সঞ্জিত সফলতম বোলার হলেও ব্যাটে-বল দুটিতেই দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচ সেরা মেহেদি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গাজী গ্রুপ: ৫০ ওভারে ২৩৫/৯ (মাইশুকুর ৪৪, মেহেদি ৪৪, ইমরুল ২০, শামসুর ৫১, রনি ১৮, কামরান ১০, তৌহিদ ১৬, শামসুল ৫, কামরুল রাব্বি ৫*, নাসুম ০, সঞ্জিত ০*; রশিদ ১০-২-৪৩-৩, সোহেল ১০-১-৩৩-০, পায়েল ১০-০-৪০-২, ইমন ৫-০-৩২-২, সাজ্জাদ ৭-০-৪১-০, হুমায়ুন ৮-০-৪০-২)।

উত্তরা: (লক্ষ্য ৩৩ ওভারে ১৮৮) ৩১ ওভারে ১৩৮ (তানজিদ ১৬, ইমন ৫০, শানাজ ১০, মোহাইমিনুল ১, শাকির , মিনহাজুল ৯, হুমায়ুন ১৫, রশিদ ২, সাজ্জাদ ৩, পায়েল ০*, সোহেল ০; মেহেদি ৭-১-৩৩-২, কামরুল রাব্বি ৫-০-৩৬-০, কামরান ৬-০-৩১-২, নাসুম ৬-১-১৬-১, সঞ্জিত ৭-২-২০-৪)।

ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৪৯ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি হাসান