আম্পায়ারের বিস্ময়কর ভুল

একটি হলেও কথা ছিল। একই ওভারে পরপর দুটি নো বলের সিদ্ধান্ত ভুল! বাংলাদেশের আম্পায়ার তানভীর আহমেদের বড় ভুলে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা বন্ধ থাকল ৮ মিনিট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2018, 02:28 PM
Updated : 22 Dec 2018, 02:54 PM

বাংলাদেশের রান তাড়ার চতুর্থ ওভারের ঘটনা। ফাস্ট বোলার ওশান টমাসের করা ওভারের পঞ্চম বলটিতে নো ডাকেন আম্পায়ার তানভীর। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, টমাসের সামনের পা দাগের যথেষ্টই পেছনে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট গিয়ে প্রতিবাদও জানান খানিকটা।

সেই নো বল থেকে পাওয়া ফ্রি হিটে পরের বলে ছক্কা মারেন লিটন। পরের বলটি টমাস করেন ওয়াইড।

শেষ বলটিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন লিটন। কিন্তু ততক্ষণে এক হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আম্পায়ার, আবারও ‘নো’ বল। লিটনও শুরুতে বুঝতে পারেননি, পরে বুঝতে পেরে রান নিতে ছোটেন। ক্যাচ নেওয়া ফিল্ডার দ্রুত বল থ্রো করেন রান আউট করতে। বল লাগেনি স্টাম্পে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, এবারও আম্পায়ার তানভীরের সিদ্ধান্ত ছিল ভুল!

এবার ক্যারিবিয়ানদের প্রতিবাদ ছিল তীব্র। অধিনায়ক ব্র্র্যাথওয়েটকে দেখা গেছে উত্তেজিত হয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে। গোটা দল একসঙ্গে জড়ো হয় গোল হয়ে, সেখানেও ব্র্যাথওয়েট কথা বলতে থাকেন উত্তেজিত হয়ে। এমনকি রিভিউও চান।

দৃশপটে আসেন তখন রিজার্ভ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। সীমানার বাইরে কথা বলেন ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে। নেমে আসেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। কথা চলতে থাকে। মাঠের দুই আম্পায়ার তানভীর ও মাসুদুর রহমানের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন রিজার্ভ আম্পায়ার। ড্রেসিং রুম থেকে এ সময় বাইরে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তবে তাকে কথা বলতে দেখা যায়নি।

এক পর্যায়ে আবার সতীর্থদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন ব্র্যাথওয়েট। ফিল্ডাররা যার যার পজিশনে ফিরে যায়, শুরু হয় খেলা। অফিসিয়াল হিসেবেই খেলা বন্ধ ছিল ৮ মিনিট।

এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে নানা সময়ে কয়েকবার বিতর্কিত ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন আম্পায়ার তানভীর। এই ম্যাচ ছিল আম্পায়ার হিসেবে তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আগের ম্যাচে ছিল অভিষেক, সেদিনও দৃষ্টিকটু ভুল করেছিলেন অন্তত দুটি।

চলতি সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আরও। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সিলেটে ফিল্ডিংয়ের সময় নিয়ম ভেঙে বাংলাদেশ অন সাইডে রেখেছিল পাঁচজনের বেশি ফিল্ডার। সেদিন একাদশে না থাকলেও অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন ব্র্যাথওয়েট। আম্পায়ারিং নিয়ে ম্যাচের পরে ক্ষোভ জানিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, ভুল করে অন সাইডে ৬ জন ফিল্ডার রেখেছিলেন তারা।