ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের বড় স্কোরে অবদান রেখেছিলেন সাকিব। পরে ঝলক দেখান বল হাতে। অসুস্থতা নিয়েও শিশির সামলে নেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ সিরিজে ফেরায় সমতা।
শিশির সামলানোর কাজটি খুব কঠিন ছিল, ম্যাচ শেষে বলেছেন সাকিব। নিজের এই পারফরম্যান্সকে তাই আলাদা করেও দেখছেন বাংলোদেশ অধিনায়ক। ম্যাচের পরদিন টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পিন কোচ যোশী স্তুতিতে ভাসালেন সাকিবকে।
“সাকিব অসাধারণ এক পারফরমার। আমরা সবাই জানি সে কতটা প্রতিভাবান। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই সেরাদের একজন সে। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট হোক বা ওয়ানডে, সে দারুণ।”
“একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছে, স্পিন কোচ হিসেবে এর চেয়ে বেশি কিছু আমি চাইতে পারি না। মাত্র ৮ বোলারের একটি বিশেষ ক্লাবে (তিন সংস্করণেই ৫ উইকেট) জায়গা করে নিয়েছে সে যোগ্য হিসেবেই।”
অনেক রেকর্ডের নায়ক সাকিব এই ম্যাচেও গড়েছেন বেশ কিছু রেকর্ড। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন। ৫ উইকেট নেওয়া ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানও এসেছে তার ব্যাট থেকে (৪২*)। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে পেয়েছেন তিন সংস্করণে ৫ উইকেটের স্বাদ। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবেচেয়ে বেশিবার ম্যাচ সেরার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এককভাবে (চার বার)।