মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার তাইজুল ক্রিজে আসার সময় মাহমুদউল্লাহ ১৪৮ বলে খেলছিলেন ৮৬ রানে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির পথে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের মাথায় কয়েকবার উঁকি দিয়েছিল শট খেলার ভাবনা।
“সেঞ্চুরি তো সবাই চায়। নব্বইয়ের ঘরে গেলে কে না চাইবে। তবে আজ কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। আমি বেশ কয়েকবার চিন্তাও করছিলাম যে, সুযোগ নিয়ে নিব কি না, এগিয়ে গিয়ে শট খেলব কি না। তখন তাইজুল বললো যে, ‘ভাই আপনি ভালো ব্যাটিং করছেন। আপনি সময় নিয়ে খেলেন।’ তখন চিন্তা করলাম যে না, সময় নিয়েই বরং খেলি।”
সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা উঁকি দেয়নি মাহমুদউল্লাহর মনে। ডানহাতি এই মিডল অর্ডার আশাবাদী ছিলেন, তার সেঞ্চুরি হওয়া পর্যন্ত শেষ দুই ব্যাটসম্যানের একজন টিকে থাকবে।
“ওদের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। শেষ ম্যাচে তাইজুল-নাঈমের একটা ভালো জুটি ছিল। তাইজুল খুব ভালো ব্যাটিং করেছিল। নাঈমও ভালো ব্যাটিং করছিল।”
“ওদের ওপর বিশ্বাস ছিল বলেই জোর করে কোনো শট খেলার চেষ্টা করিনি। ওদের ওপর আস্থা না থাকলে এগিয়ে গিয়ে একটা-দুইটা হলেও শট খেলতাম। আমি সময় নিয়েছি। কারণ, আমার বিশ্বাস ছিল আমাকে সেই সহায়তাটা এরা আমাকে দিতে পারবে।”
তাইজুল ক্রিজে যাওয়ার পর আরও ৫৫ বল খেলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। নবম উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।