নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙল পাকিস্তান

রস টেইলরের দারুণ লড়াইয়ের পরও লক্ষ্যটা হাতের নাগালে রাখলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ভালো শুরু পাওয়া সরফরাজ আহমেদের দল জিতল অনায়াসে। ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের বৃত্ত ভাঙল পাকিস্তান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2018, 07:26 PM
Updated : 9 Nov 2018, 07:27 PM

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা এনেছে মিকি আর্থারের শিষ্যরা। ২১০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ৫৭ বল বাকি থাকতে। প্রায় চার বছর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জিতল পাকিস্তান।

২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আবু ধাবিতে ৭ রানের জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের অজেয় যাত্রার। সবশেষ ১৩ ওয়ানডের ১২টিতেই জেতে তারা, পরিত্যক্ত হয় অন্য ম্যাচটি। সেই মাঠেই এবার ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান।     

শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ডের। ৭৩ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। দুই অঙ্কে গিয়ে ফিরেন দুই ওপেনার কলিন মানরো ও জর্জ ওয়ার্কার।

দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে ফিরেন কেন উইলিয়ামস। টম ল্যাথামকে বোল্ড করে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে হেনরি নিকোলসের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন টেইলর।

৩৩ রান করা নিকোলসকে ফিরিয়ে হাসান আলি জুটি ভাঙার পর প্রায় একার চেষ্টায় দলকে ২০৯ পর্যন্ত নিয়ে যান টেইলর। ১২০ বলে তিন চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

শুরুতে দুই উইকেট নেওয়া আফ্রিদি শেষে বিদায় করেন টিম সাউদি ও ইশ সোধিকে। পাকিস্তানের তরুণ বাঁহাতি পেসার ৪ উইকেট নেন ৩৮ রানে।

রান তাড়ায় ইমাম-উল-হক ও ফখর জামানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। লকি ফার্গুসনের বল হেলমেটের গ্রিলে আঘাত হানলে মাঠ ছাড়েন ইমাম। সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক জানান, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এই তরুণ ওপেনারকে। পরে পিসিবি জানায় শঙ্কা মুক্ত ইমাম আপাতত দলের ফিজিওর পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

ক্রিজে এসেই শট খেলতে শুরু করেন বাবর আজম। ফখরের সঙ্গে দ্রুত জমে যায় তার জুটি। নিউ জিল্যান্ডের বোলিংকে পাত্তা না দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন দুই জনে। ২৯তম ওভারে চার বলের মধ্যে দুই জনকে ফিরিয়ে দেন ফার্গুসন।

এশিয়ায় নিজের প্রথম পঞ্চাশ পাওয়া ফখর ১১ চারে ৮৮ বলে করেন ৮৮। বাবর ৫০ বলে করেন ৪৬। শোয়েব মালিক ও সরফরাজ টেকেননি বেশিক্ষণ। বাকিটা শাদাব খানকে নিয়ে সারেন মোহাম্মদ হাফিজ। চার মেরে দলকে জয় এনে দেওয়া অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ২৭ রান।

৬০ রানে ৩ উইকেট নেন ফার্গুসন। নিউ জিল্যান্ডের নতুন বলের দুই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি থাকেন উইকেটশূন্য।

আগামী রোববার দুবাইয়ে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২০৯/৯ (ওয়ার্কার ২৮, মানরো ১৩, উইলিয়ামসন ১, ল্যাথাম ১, নিকোলস ৩৩, টেইলর ৮৬*, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩, সাউদি ১৩, সোধি ১৩, বোল্ট ১, ফার্গুসন ১*; আশরাফ ০/২৬, আফ্রিদি ৪/৩৮, হাসান ২/৫৯, হাফিজ ১/৩১, শাদাব ১/২৫, ওয়াসিম ০/২৪)

পাকিস্তান: ৪০.৩ ওভারে ২১২/৪ (ইমাম আহত অবসর ১৬*, ফখর ৮৮, বাবর ৪৬, হাফিজ ২৭*, মালিক ১০, সরফরাজ ১৩, শাদাব ২*; বোল্ট ০/৬০, সাউদি ০/৪৮, ফার্গুসন ৩/৬০, উইলিয়ামসন ০/৭, সোধি ১/২১, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/১৫)

ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি