এনসিএলের প্রথম স্তরের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৪৬। ৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি এগিয়ে গেছে ১৮৩ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সালমান হোসেনকে দ্রুত ফেরান মোহর শেখ। থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন শাহরিয়ার নাফীস, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেন।
প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি ১০৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। সেখান থেকে নুরুজ্জামানের সঙ্গে ১২৮ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান আল আমিন জুনিয়র।
সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে ৯৭ রানে থামান সাব্বির রহমান। আল আমিন জুনিয়রের ১৩১ বলের ইনিংস গড়া ১৭ চারে। পরে নুরুজ্জামানকে বিদায় করেন মোহর শেখ। প্রথম ইনিংসে বরিশালকে গুঁড়িয়ে এই পেসার এবার নেন ৩ উইকেট।
দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন শামসুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকদের বেশিদূর এগোতে দেননি মনির। আগের দিন প্রতিরোধ গড়া জুনায়েদ সিদ্দিককে ৭৮ রানে থামান অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
পরে পরপর তিন বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুক্তার আলী, শফিকুল ইসলাম ও মোহরকে। ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ রেজা। ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর প্রথম ইনিংস।
দেলোয়ার হোসেনের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এবারের আসরে হ্যাটট্রিক করলেন মনির। বাঁহাতি স্পিনে ১৪ রানে নিলেন ৫ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৯৭
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৫৪ ওভারে ১৬০ (সাব্বির হোসেন ১১, মিজানুর ০, জুনায়েদ ৭৮, ফরহাদ ৩, জহুরুল ২৫, সাব্বির রহমান ০, সানজামুল ৫, রেজা ৩২*, মুক্তার ২, শফিকুল ০, মোহর শেখ ০; রাব্বি ২/৭১, তানভীর ১/১৮, মোসাদ্দেক ০/১৬, নুরুজ্জামান ০/১০, সোহাগ ২/২৯, মনির ৫/১৪)।
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৬৯ ওভারে ২৪৬/৬ (শাহরিয়ার ৩৩, সালমান ১, মাহমুদ ২৩, আল আমিন জুনিয়র ৯৭, মোসাদ্দেক ২০, নুরুজ্জামান ৪৫, শামসুল ৪*, তানভীর ৫*; রেজা ০/৩৮, শফিকুল ০/৩৯, মোহর ৩/৬৪, মুক্তার ১/২১, সানজামুল ১/৫১, সাব্বির হোসেন ০/১৩, সাব্বির রহমান ১/৫)