সিলেট টেস্টের শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ২৯৫ রান। উইকেট আছে সবকটিই। তবে দিনের শুরুতে দুই ওপেনারের মনে ভয়ের ছায়া থাকা অস্বাভাবিক নয় মোটেও। এ প্রসঙ্গে রিচার্ডসকে নিয়ে আসা তার ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের কারণেই। ব্যাটিং শৌর্য আর আগ্রাসনের প্রতীক মনে করা হতো এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তিকে। শরীরী ভাষায় মিশে থাকত প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার তাড়না, ব্যাটিংয়ে গুঁড়িয়ে দিতে চাইতেন বোলারদের। কিন্তু রোডসের বিশ্বাস, এই রিচার্ডসও ইনিংসের শুরুতে অনুভব করতেন খানিকটা স্নায়ুর চাপ।
“আমরা চেষ্টা করব গোটা দুয়েক বড় জুটি গড়ার। তবে উইকেটে যাওয়ার পর প্রথমে নার্ভাস থাকে সবাই। ভিভ রিচার্ডস যেভাবে উইকেটে যেতেন, দেখে কখনও মনে হয়নি এই লোক নার্ভাস হতে পারেন। কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি, কিছুটা (নার্ভাসনেস) তার মধ্যেও কার করত। বল খেলতে খেলতে আস্তে আস্তে কাজ সহজ হয়ে ওঠে।”
উইকেটে এখনও বল খুব বেশি টার্ন করছে না। এটি আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ কোচকে। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেল যেভাবে ব্যাট করে পার করে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস, সেটিতেও ভরসা পাচ্ছেন কোচ।
“ভালো ব্যাপার হলো, এটি ভয়ঙ্কর টার্নিং উইকেট নয়। সব বল টার্ন করছে না। কিছু কিছু করছে। যদি আমরা খুব বেশি দ্বিধা নিয়ে না খেলি, এই উইকেটে স্পিন খেলা যায়।”
“আজকে লিটন ও ইমরুল আমাদের দেখিয়েছে কিভাবে ব্যাট করা যায়। প্রথম ইনিংসে খুব ভালো করা দুই বোলারকে ওরা ভালোভাবেই সামলেছে। এই বোলারদের সামাল দিতে পারলে, রান করার অনেক উপায় নিশ্চিতভাবেই আছে। শেষ ইনিংসে ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোর গড়া কঠিন অবশ্যই, তবে অর্জন করা সম্ভব।”
রোডস জানালেন, তিনি যা বলছেন, সেই বিশ্বাস আছে ড্রেসিং রুমেও।
“ড্রেসিং রুমে সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী। ওরা জানে, শেষ ইনিংসে ম্যাচের সর্বোচ্চ রান করতে হবে, যেটি খুব বেশি হয় না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করতে আমরা প্রস্তুত। আমি খুশি যে ইমরুল ও লিটন মোটামুটি একটি ভিত্তি দিতে পেরেছে। কাল আবার আমাদের ছুটতে হবে।”