এই ব্যাটিং ব্যর্থতার উত্তর জানা নেই কোচের

শেষ ইনিংসে রেকর্ড রান তাড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তবে শঙ্কার হাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার রেশ। যে ব্যর্থতা ভাবিয়ে তুলেছে স্টিভ রোডসকেও। উইকেট নিষ্প্রাণ, এরপরও প্রথম ইনিংসে কেন এমন ব্যাটিং বিপর্যয়, কারণ খুঁজে ফিরছেন বাংলাদেশ কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2018, 01:36 PM
Updated : 6 Nov 2018, 03:17 AM

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্টে ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার সেটি সপ্তম পর্ব। টানা সাত টেস্ট ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে দুইশর নিচে। ছয়বারই স্পর্শ করতে পারেনি দেড়শ।

তবে এই ম্যাচের ব্যর্থতায় প্রশ্ন উঠছে বেশি। উইকেটে বোলারদের জন্য ছিল না তেমন কোনো সাহায্য। জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণও ধারহীন। উইকেট নেওয়ার মতো বলও তারা খুব একটা করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ উপহার দিয়ে এসেছে একের পর এক উইকেট। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ ফিরে তাকালেন আগের দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু পেলেন না বলার মতো যুক্তি।

“আমি নিজের কোচিং পছন্দ করি, নিজের ধরনে আস্থা রাখি। তবে ক্রিকেটে সবসময় সবকিছু পক্ষে আসে না। যে ব্যাটসম্যানেরা আউট হয়েছে, সবাই ভালো। কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদে ফেলেছি এবং ওরা সেটা জানে। আপনারা প্রশ্ন করছেন, আমাকে উত্তর দিতেই হবে। নিজেদের ব্যাটিংয়ে ওরা সবাই হতাশ।”

“অনেকটাই নিষ্প্রাণ উইকেটে ১৪৩ রানে অলআউট হওয়া খুবই হতাশার। তবে কেন, সেই উত্তর আমি সবসময় জানি না। দিনটিতে আমাদের কিছুই ঠিকঠাক হয়নি। আমার ধারণা, ড্রেসিং রুম সেটা পুষিয়ে দিতে প্রস্তুত। হবে কিনা জানি না, তবে চেষ্টা নিশ্চিতভাবেই করব আমরা।”

জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের মান দুর্বল, ওয়ানডে সিরিজে তারা উড়ে গেছে, সেই ভাবনা থেকে ব্যাটসম্যানরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন কিনা, কিংবা মনে কোনো অবহেলা কাজ করছিল কিনা, সেই প্রশ্নগুলো উঠছে। কোচ অবশ্য সেসব উড়িয়ে দিলেন।

“আমার মনে হয় না ওরা জিম্বাবুয়ের বোলারদের হালকা ভাবে নিয়েছে বা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল। টেন্ডাই চাটারা (জিম্বাবুয়ে পেসার) কালকে বলেছেন, আমরা ওয়ানডের আবহে ব্যাট করেছি। কিন্তু পুরো সপ্তাহ ধরে আমরা অনুশীলন করেছি সাদা বলের শটগুলো দূরে ঠেলতে। কিন্তু প্রথম ইনিংসে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু আলগা শট খেলেছি।”

“আমি ওদেরকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি, এই ধরনের উইকেট নিজের রেকর্ড সমৃদ্ধ করার সুযোগ। ওরাও জানে, ওদের উচিত ছিল সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় রান করা। কিন্তু হয়নি। এরপরও তাইজুল ও অন্যদের দারুণ বোলিংয়ের সৌজন্যে এখনও আমরা ম্যাচে টিকে আছি।”

রোডস দায়িত্ব নিয়ে আসার পর টেস্টে কেবল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতাই দেখছেন। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে তাই মরিয়া তিনি। তবে ক্রিকেটারদের সমালোচনার শূলে খুব বেশি বিদ্ধ না করতেও অনুরোধ জানালেন।

“আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট ফর্মে উন্নতি মরিয়াভাবে প্রয়োজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ম্য্যাচ দুটি আমাদের জন্য ছিল খুব কঠিন। কিন্তু এখানে, দেশের মাটিতে, এমন ব্যাটিং খুব হতাশার। ওরা চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এরা ভালো ব্যাটসম্যান। স্রেফ আত্মবিশ্বাস দরকার। ওদের প্রতি খুব আক্রমণাত্মক কিংবা রূঢ় হতে পারি না আমরা।”