জিম্বাবুয়েকে ৩২০ রানের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। তাইজুলের সৌজন্যে দ্বিতীয় সকালে পূরণ হয়েছে চাওয়া। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ২৮২ রানে।
৫ উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে এ দিন আর যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৪৬ রান। এই পাঁচ উইকেটের চারটিই নিয়েছেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনার ইনিংস শেষ করেছেন ১০৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে।
তাইজুলের ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৩৯ রানে ৮ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা।
৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিটার মুর ও রেজিস চাকাভা আগের দিনের মতোই ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। বাংলাদেশের বোলিংকে মনে হচ্ছিল অকার্যকর।
৪৩ থেকে তাইজুলকে দারুণ দুটি চারে মুর স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। দারুণ টেম্পারামেন্টের প্রমাণ ছাপ রেখে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করেছেন ১৪৫ বলে।
জমাট এই জুটিতে বাংলাদেশ ফাটল ধরাতে পারে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায়। তাইজুলের বলে চাকাভার ফ্লিক কোনোরকমে আটকে যায় শর্ট লেগে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ৬০ রানের।
সেটিই ছিল জিম্বাবুয়ের শেষের শুরু। একপাশে দাঁড়িয়ে মুর দেখেন আরেক পাশে সতীর্থদের আসা যাওয়া। তাইজুলই ছিলেন মূল হন্তারক। মাঝে শুধু ব্র্যান্ডন মাভুটার উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু।
সকালে ৮ ওভারের প্রথম স্পেলে তাইজুলের উইকেট ছিল একটি। প্রান্ত বদলে দ্বিতীয় স্পেলে ৩ উইকেট নেন ৭ রানে।
কাইল জার্ভিসকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ৫ উইকেট। পরের বলেই টেন্ডাই চাটারাকে ফিরিয়ে জাগিয়ে রেখেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাটট্রিকের আশা।
২১ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট। সাড়ে চার ঘণ্টা উইকেট লড়াই করে মুর অপরাজিত থেকে যান ১৯২ বলে ৬৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১১৭.৩ ওভারে ২৮২ (আগের দিন ২৩৬/৫) (মুর ৬৩*, চাকাভা ২৮, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৪, মাভুটা ৩, জার্ভিস ৪, চাটারা ০; আবু জায়েদ ২১-৩-৬৮-১, তাইজুল ৩৯.৩-৭-১০৮-৬, আরিফুল ৪-১-৭-০, মিরাজ ২৭-৮-৪৫-০, নাজমুল অপু ২৩-৬-৪৯-২, মাহমুদউল্লাহ ৩-০-৩-১)