শান্তর দৃঢ়তা, ব্যর্থ আরিফুল

টেস্ট সিরিজের দলে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের একজন প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ দিনে সফল, রান পাননি অন্য জন। স্বল্প সুযোগে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিং অনুশীলনের আশায় ওপেনিংয়ে নেমে দ্রুত ফিরেছেন আরিফুল হক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2018, 01:07 PM
Updated : 31 Oct 2018, 01:07 PM

বৃষ্টিতে ভেসে যায় জিম্বাবুয়ে-বিসিবি একাদশের প্রথম দিন। দ্বিতীয় দিন খেলা হয় মোটে ৯ ওভার। তৃতীয় ও শেষ দিন বোলিং-ব্যাটিংয়ের কিছুটা সুযোগ মেলে দুই দলেরই। অনুমিত ড্র হয়েছে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ।

মিডল অর্ডারে দ্রুত রান তোলার আশায় টেস্ট দলে নেওয়া হয় আরিফুলকে। তার যে স্বাভাবিক ব্যাটিং পজিশন প্রস্তুতি ম্যাচে তত দূর ব্যাটিং যাওয়ার বাস্তবিক কোনো সুযোগ ছিল না। তাই লাল বলে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে শান্তর সঙ্গে আরিফুলকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়।

কাইল জার্ভিস ভোগান দুই ব্যাটসম্যানকেই। অফ স্টাম্পের বাইরে টানা বল করে যাওয়া ডানহাতি পেসারের ফাঁদে পা দেন আরিফুল। বেশ বাইরের বল ড্রাইভ করে ধরা পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে চার রান করে।

তিনে নেমে মিজানুর রহমান ফেরেন জন নিয়ুম্বুর স্পিনে সহজ ক্যাচ দিয়ে। মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন শান্ত। আলোকস্বল্পতার জন্য আগেভাগে মাঠ ছাড়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৬/২। এরপর আর খেলা সম্ভব হয়নি।

শান্ত অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। জার্ভিসের বলে শুরুতে একটু ভুগলেও পরে মানিয়ে নেন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্পিন একেবারেই ভাবাতে পারেনি বাঁহাতি ওপেনারকে। অনায়াসে খেলেছেন ব্র্যান্ডন মাভুটা, জন নিয়ুম্বুদের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ১২ রান নিয়ে খেলা শুরু করা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই উইকেট হারায়। দিনের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ক্রেইগ আরভিন।

অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ব্রেন্ডন টেইলরকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি এবাদত। দারুণ এক ইয়র্কারে লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তরুণ এই পেসার। আফিফ হোসেনের অফ স্পিন শরীরের খুব কাছে থেকে কাট করতে গিয়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েন রেজিস চাকাভা।

এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজা তিন চারে ৩৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা শন উইলিয়ামসও ২৯ রান করে তাকে অনুসরণ করেন।

শেষের দিকে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করান রুবেল হোসেন। ১৫ বছর বয়সী লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদীন তাকে এনে দেন সাফল্য। গুগলিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পিটার মুরকে। এরপর বেশিক্ষণ ব্যাটিং করেনি জিম্বাবুয়ে।

৫ উইকেটে ১৪৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন মাসাকাদজা। সে সময়ে সিকান্দার রাজা ৩২ ও রায়ান বুর্ল ৩ রানে ব্যাট করছিলেন। ১৩ রানে ২ উইকেট নেন এবাদত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ১২/১) ৪৮ ওভারে ১৪৫/৫ ইনিংস ঘোষণা (মাসাকাদজা আহত অবসর ৩৯*, আরভিন ১, টেইলর ৫, চাকাভা ১৪, উইলিয়ামস আহত অবসর ২৯*, রাজা ৩২*, মুর ১৪, বুর্ল ৩*; শাহাদাত ৮-১-২০-০, রুবেল ৯-৪-২২-১, এবাদত ৬-২-১৩-২, আবু হায়দার ৪-১-১১-০, আরিফুল ৪-০-১২-০, আফিফ ৫-১-১৭-১, মোসাদ্দেক ৭-০-২৮-০, মাহমুদ ২-০-৮-০, আফ্রিদি ৩-০-১১-১)

বিসিবি একাদশ ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ৫৬/২ (নাজমুল ২২*, আরিফুল ৪, মিজানুর ১৯, মোসাদ্দেক ১*; জার্ভিস ৪-১-৮-১, চাটারা ৪-১-৭-০, টিরিপানো ৩-১-৬-০, মাভুটা ৫-০-১৭-০, নিয়ুম্বু ২-১-৯-১)

ফল: ড্র