পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমীকরণ মেলাচ্ছেন মাশরাফি

ওপেনিংয়ে পাল্লা দিয়ে রান করছেন লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস। কোথায় ব্যাট করবেন সৌম্য সরকার? সৌম্যর আগে থেকেই সুযোগের অপেক্ষায় আছেন প্রথম দুই ম্যাচে বাইরে থাকা চারজন। দাবি আছে সবারই। সুযোগ মিলবে কজনের? শেষ ওয়ানডের আগে সেই সমীকরণ মেলাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2018, 04:40 PM
Updated : 25 Oct 2018, 04:40 PM

প্রথম দুই ম্যাচে একই একাদশ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। স্কোয়াডের বাকি চারজনই তাকিয়ে শেষ ম্যাচের দিকে, যদি একটি সুযোগ মিলে। এর মধ্যেই আবার দলে যোগ করা হয়েছে সৌম্য সরকারকে। শেষ ওয়ানডেতে জায়গার দাবিদার তাই এখন পাঁচজন।

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর শেষ ম্যাচে সম্ভব সবাইকে পরখ করে নেওয়ার ভাবনা এসেছিল দলের। তবে ভাবনার গভীরে গিয়ে মনোভাব বদলে গেছে অনেকটাই। শেষ ওয়ানডের আগের দিন অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন, খুব বেশি পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখছে না দল। বরং বিশ্বকাপের আগে নিয়মিতদের ছন্দে রাখা বেশি জরুরি।

“চার জন বাইরে ছিল, যাদের মধ্যে রুবেল তো প্রমাণিত। ওকে দেখার কিছু নেই। আরিফ আছে, শান্ত আছে, রনি আছে। তবে বদল তো নির্ভর করে পজিশনের ওপর, কে কোথায় খেলে। কার ব্যাটিং অর্ডার কোন জায়গায়। সেটির ওপর ভিত্তি করেই দল করা উচিত। নতুন কাউকে এক ম্যাচ দেখলে তো লাভ নেই, আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে শুরু করতে হবে। কারণ দেখলে তো পর্যাপ্ত সুযোগও দেওয়া উচিত।”

“আমার কাছে মনে হয় যে চিন্তাটা এক জায়গায় থাকা উচিত যে আপাতত এই কয়েকজনের বাইরে আর যাব না। এদের নিয়েই দেখব, এদের ভেতরই পরিবর্তন করতে হবে। সেটি হলে আমার কাছে মনে হয় নিউ জিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত দেখতে পারব।”

শেষ ওয়ানডেতে পরিবর্তন যা হতে পারে, সেটিরও একটি ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মাশরাফি। এশিয়া কাপ থেকে দলের সঙ্গে থেকেও খেলার সুযোগ না পাওয়া আরিফুল হকের সুযোগ প্রাপ্য, বললেন অধিনায়ক।

“আসলে সব জায়গায় দেখার প্রয়োজন নেই। আরিফ অনেক দিন থেকে দলের সাথে আছে। সুতরাং ওর ম্যাচ খেলাটা আসলে অনেক জরুরি হয়ে গিয়েছে এবং সেভাবে চিন্তা ভাবনা চলছে। আরিফ খেললে খেলবে অবশ্যই একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে।”

শেষ সময়ে যোগ দেওয়া সৌম্যরও সম্ভাবনা আছে একাদশে জায়গা পাওয়ার। তবে কোন পজিশনে খেলবেন, সেটি নিয়ে আছে প্রশ্ন। ওপেনিংয়ে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের যেভাবে পাল্লা দিয়ে রান করছেন, তাতে সেখানে বদলের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সৌম্যকে দলে নেওয়ার সময় প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন তিন বা সাত নম্বরে খেলানো হতে পারে সৌম্যকে। মাশরাফিও বললেন সেই সম্ভাবনার কথা।

“দেখুন সৌম্য দুই জায়গাতেই খেলেছে এবং আমারও সমস্যা নেই তার এই দুই জায়গা নিয়ে। সৌম্য যদি ফর্মে থাকে এবং সবকিছু ঠিক থাকে সে ওপেনারেরও ব্যাকআপ হতে পারে, আবার সাত নাম্বারেরও ব্যাকআপ হতে পারে। তার বোলিংও আছে এবং সে বোলিং ভাল করছে। এটি তার জন্য অনেক বড় একটি সুবিধা। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় সে দুটি জায়গারই ব্যাকআপ হতে পারে। তাকে দিয়ে দুইটি জায়গার সমাধান পাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।” 

শেষ ওয়ানডেতে খুব বেশি পরিবর্তন না করার পেছনে আরেকটি কারণ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের চাওয়াও। বিশ্রাম নিতে খুব একটা আগ্রহী নন দুই সিনিয়রের কেউই। মুশফিক ধরে রাখতে চান ছন্দ, তাই মিস করতে চান না একটি ম্যাচও। মাহমুদউল্লাহ খুব ভালো করতে পারেননি প্রথম ম্যাচে, দ্বিতীয় ম্যাচে পাননি ব্যাটিং। খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তিনিও। এমনিতেও তাই বেশি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।