বিশাখাপত্তনমে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোহলির ৩৭তম সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ৩২১ রানে। ওয়ানডেতে এটি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টাই।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দ্রুত ফিরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা। থিতু হয়ে বিদায় নেন অন্য ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
চতুর্থ ওভারে ক্রিজে আসা কোহলি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৫৭ রানে। তার ১২৯ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসটি গড়া ১৩ চার ও চার ছক্কায়। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কোহলির রেকর্ড নিজের করে নিতে লেগেছে ২০৫ ইনিংস। ২০০১ সালে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ২৫৯ ইনিংস খেলে।
তৃতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে ১৩৯ রানের জুটি গড়া অম্বাতি রাইডু ফিরেন ৮০ বলে ৮ চারে ৭৩ রান করে। মহেন্দ্র সিং ধোনি, রিশাব পান্ত, রবীন্দ্র জাদেজারা পারেননি শেষটায় প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে।
বড় রান তাড়ায় এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা হোপ। অন্য প্রান্তে মিলছিল না তেমন সহায়তা। হেটমায়ার ক্রিজে আসার পর পাল্টে যায় চিত্র। তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৬৪ বলে ৭ ছক্কা আর ৪ চারে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন নিজেদের দিকে।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে থাকা হেটমায়ারকে ফিরিয়ে ১৪৩ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল। এরপর প্রায় একার লড়াইয়ে দলকে টানেন হোপ।
জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। দলকে জোতাতে পারেননি হোপ। তবে দারুণ এক বাউন্ডারিতে হারতেও দেননি দলকে। ১৩৪ বলে খেলা হোপের ১২৩ রানের ইনিংস গড়া ১০ চার ও ৩ ছক্কায়।
আগামী শনিবার পুনেতে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ৩২১/৬ (রোহিত ৪, ধাওয়ান ২৯, কোহলি ১৫৭*, রাইডু ৭৩*, ধোনি ২০, পান্ত ১৭, জাদেজা ১৩, শামি ০*; হোল্ডার ০/৫০, রোচ ১/৬৭, নার্স ২/৪৬, বিশু ০/৪৮, ম্যাকয় ২/৭১, স্যামুয়েলস ১/৩৬)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৭ (কাইরন পাওয়েল ১৮, হেমরাজ ৩২, হোপ ১২৩*, স্যামুয়েলস ১৩, হেটমায়ার ৯৪, রভম্যান ১৮, হোল্ডার ১২, নার্স ৫, রোচ ০*; শামি ১/৫৯, উমেশ ১/৭৮, কুলদীপ ৩/৬৭, জাদেজা ০/৪৯, চেহেল ১/৬৩)
ফল: টাই
ম্যান অব দা ম্যাচ: বিরাট কোহলি