দুবাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছে ৪৮২ রান। অস্ট্রেলিয়া সোমবার দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৩০ রান নিয়ে।
৩ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে দিনের শুরুতেই ফেরান পিটার সিডল। পঞ্চম উইকেটে হারিস সোহেল ও আসাদ শফিকের বড় জুটি এগিয়ে নেয় পাকিস্তানকে।
ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করেছেন দুজনই, ছিল না চটকদার শট খেলার তাড়না। কেউই পা বাড়াননি ঝুঁকির পথে। অস্ট্রেলিয়া বোলারদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় দুজনের দৃঢ়তার দেয়ালে। পঞ্চম উইকেটে দুজনে গড়েন ১৫০ রানের জুটি।
শফিককে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন অভিষিক্ত মার্নাস লাবুশেন। তার মূল কাজ ব্যাটিং হলেও ব্যাট হাতে নেওয়ার আগেই দলে অবদান রাখলেন লেগ স্পিনে। তার দারুণ ডেলিভারিতেই ৮০ রানে ফেরেন শফিক।
ষষ্ঠ টেস্ট খেলতে নামা হারিস প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্পর্শ করেন ২২৪ বলে। ১১০ রানে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরান নাথান লায়ন।
পাকিস্তানের লোয়ার মিডল অর্ডার এরপর সুবিধা করতে পারেনি খুব বেশি। শক্ত ভিত পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাবর আজম। ব্যাটিং ও নেতৃত্ব মিলিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনার চাপে থাকা সরফরাজ আহমেদ রান আউট ১৫ রানে। অভিষিক্ত অলরাউন্ডার বিলাল আসিফ পারেননি ঝড় তুলতে। পাকিস্তান তাই শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি পাঁচশ।
শেষ বিকেলে ১৩ ওভার পাকিস্তানের বোলিং সামলানোর চাপ ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের। বাঁহাতি উসমান খাওয়াজা ও ১৩৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর টেস্ট অভিষিক্ত অ্যারন ফিঞ্চ দিনটি কাটিয়ে দেন নির্বিঘ্নে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৬৪.২ ওভারে ৪৮২ (আগের দিন ২৫৫/৩)(হারিস ১১০, আব্বাস ১, শফিক ৮০, বাবর ৪, সরফরাজ ১৫, বিলাল ১২, ওয়াহাব ৭*, ইয়াসির ৩; স্টার্ক ১/৯০, সিডল ৩/৫৮, লায়ন ২/১১৪, হল্যান্ড ১/১২৬, লাবুশেন ১/২৯, মিচেল মার্শ ০/৩৮)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৩ ওভারে ৩০/০ (খাওয়াজা ১৭*, ফিঞ্চ ১৩*; আব্বাস ০/৯, ওয়াহাব ০/৬, ইয়াসির ০/১৪, হাফিজ ০/১, বিলাল ০/০)।