ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর ছুটি কাটিয়ে সোমবারই এশিয়া কাপের প্রস্তুতি পর্বে যোগ দিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ম্যাচ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অনুশীলন করেছে দল। টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার, ও লোয়ার মিডল অর্ডারকে বিভিন্ন লক্ষ্য দিয়ে ব্যাটিং করানো হয়েছে। স্লগ ওভার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা বরাবরের।
এদিন অনুশীলনে সেটা দেখা হয়ে গেল ম্যাকেঞ্জিরও।
শেষ কয়েক ওভারে বিভিন্ন লক্ষ্য দিয়ে কয়েক দফায় ব্যাটিং করানো হয়েছে আরিফুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। বেশির ভাগ সময়ই লক্ষ্য ছুঁতে পারছিল না এই লোয়ার মিডল অর্ডার।
স্লগ ওভারের দাবি পূরণ করার পথ নিয়ে জোর দিয়েই ভাবছেন ম্যাকেঞ্জি। ক্যারিবিয়ানদের মতো পাওয়ার হিটার বাংলাদেশে নেই, এই বাস্তবতা যেমন সত্যি, তেমনি ব্যাটিং কোচ দেখিয়ে দিলেন ঘাটতি পূরণের অন্য বাস্তবতাও।
“টেকনিক্যালি আরও ভালো পজিশনে যেতে পারি। দেখুন, আমরা কোনো বিভ্রমে থাকছি না। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে লড়াই করছি না, ওরা যেভাবে শট খেলে। তবে স্কিল হিটিংয়ে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারি। বৃত্তের ভেতর চার ফিল্ডারকে টার্গেট করতে পারি, কাভারের ওপর দিয়ে বা পয়েন্ট, মিড উইকেট, শর্ট ফাইন লেগের ওপর দিয়ে খেলতে পারি।”
গত কয়েক বছরে ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের ধারা বদলে গেছে অনেকটাই। বড় দলগুলি এখন সাড়ে তিনশ-চারশ করছে অনায়াসেই। বাংলাদেশ এখনও সেই জায়গাটায় যেতে পারেনি। তবে দলের ব্যাটিং সামর্থ্যে আস্থা যথেষ্টই আছে ম্যাকেঞ্জির। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, আগামী বিশ্বকাপ নাগাদ আরও উন্নতি হবে ব্যাটিংয়ের।
“সিনিয়র ক্রিকেটাররা কিন্তু যথেষ্টই এগিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট বেশ ভালো। আমার মনে হয়, শক্তির জায়গাগুলো আরেকটু ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে আমাদের। ছেলেদের ব্যাট স্পিড দারুণ, কবজির ব্যবহারও করে খুব ভালো। আমার মনে হয় না, ম্যাচ পরিকল্পনায় ওদেরকে এই ভূমিকাগুলো পালন করতে দেওয়া হয়েছে।”
“অন্য দলগুলির সঙ্গে তুলনায় যাওয়া কঠিন। ৬-৭ মাস পর আমাকে আবার জিজ্ঞেস করতে পারেন। তখন ওরা আরও ভালো হবে, আরও টুর্নামেন্ট খেলবে। আমিও ওদেরকে আরও ভালোভাবে জানব।”