শেষ ম্যাচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে চান না সাকিব

ছোট মাঠ। নিখাদ ব্যাটিং উইকেট। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়াম বেশিরভাগ সময় কথা বলে ব্যাটসম্যানদের হয়েই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ সেখানে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর। সিরিজের শেষ ওয়ানডে সেখানেই। ঝুঁকিটুকু তাই রেখে দিতে চান না সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ সহ-অধিনায়কের চাওয়া, সিরিজের ফয়সালা গায়ানাতেই সেরে ফেলা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2018, 05:05 PM
Updated : 24 July 2018, 05:05 PM

টেস্ট সিরিজে উইকেট ছিল পেস সহায়ক। ধুঁকেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল যেন স্বস্তিতে শ্বাস নেওয়ার ফুরসত। উইকেটের ধরন একদম মানিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। ওয়ানডে সংস্করণে দল এমনিতেই ভালো। পাশাপাশি উইকেটও নিজেদের মতো পাওয়ায় ধরা দিয়ছে দারুণ জয়।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচও গায়ানায়। এদিন যদি ভিন্ন উইকেটেও খেলা হয়, আচরণ তবু খুব ভিন্ন হওয়ার কথা নয়। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে এখানেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চান সাকিব।

“আমরা যখন খেলতে নামি, অবশ্যই চাই প্রতিটি ম্যাচই জিততে। কালকে আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে, কারণ আমি নিশ্চিত যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। কালকে জিতে থাকতে পারলে সেন্ট কিটস নিয়ে আর টেনশনে থাকতে হবে না।”

“অবশ্যই চাইব যেন শেষ ম্যাচও জিততে পারি। তবে কালকের ম্যাচটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেন্ট কিটসেও এমনিতে খুব পার্থক্য হবে না। কিন্তু ওদের সুবিধা বেশি থাকবে। ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। রান ওখানে বেশি হবে, মাঠ ছোট। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন এখানেই যতটা সম্ভব ভালো করতে পারি।”

২০০৭ বিশ্বকাপে এই মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেট তখনও ছিল একটু মন্থর। এবারও সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইকেট ছিল প্রায় একই রকম। সেই সুবিধাই কাজে লাগাতে চান সাকিব।

“আমরা জানি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গায়ানার উইকেটিই কেবল স্পিন সহায়ক। স্পিন সহায়ক না হলেও যেটা হয় তা বাংলাদেশের মতোই। এখানকার ঘাস, মাটিও দেখতে বাংলাদেশের মতোই। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। এখানে দুটি ম্যাচ খেলেছি, দুটিতেই ফল আমাদের পক্ষে এসেছে। কালকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। আমরা সেটি নিয়েই চিন্তা করছি।”

প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে দিন-রাতের এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত সাড়ে ১২টায়।