নেদারল্যান্ডসে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
উট্রেক্টে মঙ্গলবার আমিরাতের মেয়েদের ৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে সপ্তম ওভারে।
আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মেয়েদের ৪২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। যেটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। পরের ম্যাচেই নতুন করে লেখা হলো সেই রেকর্ড।
টুর্নামেন্টের টপ ফেভারিট দলের গ্রুপ সেরা হওয়াটা প্রত্যাশিতই। তবে একের পর এক ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় ফেভারিটের তকমাকে আরও পোক্ত করেছে।
আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও জয়ের কাজ প্রায় সেরে ফেলেছেন বোলাররাই। আমিরাতের ওপেনার এশা রোহিত করেছেন ১৮, আরেক ওপেনার চামানি সেনেভিরাত্না ৭। বাকি কেউ করতে পারেননি ৫ রানের বেশি।
বাংলাদেশের মূল পেসার জাহানারা আলম এদিন ছিলেন না। নতুন বলে পান্না ঘোষ ও সালমা খাতুন উইকেট পাননি। কিন্তু পরে জ্বলে উঠেছেন স্পিনাররা।
আগের দুই ম্যাচের মতোই বাংলাদেশের দুই লেগ স্পিনারের জবাব পায়নি প্রতিপক্ষ। ৪ ওভারে ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ফাহিমা। তৃতীয় ওভারে টানা তিন বলে নিয়েছেন উইকেট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি প্রথম হ্যাটট্রিক। টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম হ্যাটট্রিক।
বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রুমানা আহমেদ। ফাহিমার হ্যাটট্রিকের দিনে রুমানা নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা ২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
সহজ রান তাড়ায় বাংলাদেশ একটু পরিবর্তন আনে ব্যাটিং অর্ডারে। নিয়মিত ওপেনার শামিমা সুলতানাকে নিচে নামিয়ে ওপেনিংয়ে খেলানো হয় নিগার সুলতানাকে। ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিগার অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে।
হ্যাটট্রিক কীর্তি গড়ে ম্যাচের সেরা ফাহিমা। আগের ম্যাচেও ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ফাইনালে উঠলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৬.২ ওভারে ৩৯ (এশা ১৮, সেনেভিরাত্না ৭; পান্না ২-০-৫-০, সালমা ২-০-৫-০, নাহিদা ২.২-০-২-২, খাদিজা ৪-০-১৫-০, ফাহিমা ৪-০-৮-৪, রুমানা ২-১-৪-২)।
বাংলাদেশ: ৬.৫ ওভারে ৪০/২ (আয়েশা ২, নিগার ২১*, সানজিদা ১৫, রুমানা ০*; নিশা ১/৭, শ্রিনিবাসন ১/১২)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: ফাহিমা খাতুন