বিশ্বকাপ খেলার প্রত্যয় নিয়ে বাছাইপর্বে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা

এশিয়া কাপ জয়ের ইতিহাস গড়া সাফল্যের রেশ মিলিয়ে যায়নি এখনও। সেই তরতাজা আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে বাংলাদেশের মেয়েরা শুরু করছে নতুন অভিযান। আয়ার‌ল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এরপরই নেদারল্যান্ডসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। দেশ ছাড়ার আগে অধিনায়ক সালমা খাতুনের কণ্ঠে প্রত্যয়, অবশ্যই বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2018, 03:30 PM
Updated : 23 June 2018, 03:30 PM

আয়ারল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিকে বলা যায় এক রকম বাছাইপর্বের প্রস্তুতি সিরিজ। ৭ জুলাই থেকে নেদারল্যান্ডসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব।

বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে ২০১৪ সালে, দেশের মাটিতে স্বাগতিক হিসেবে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছে বাছাইপর্ব উতরেই। সালমার বিশ্বাস, এবারও বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ।

“অবশ্যই আমরা আশাবাদী যে বিশ্বকাপ কোয়াইলিফাই করবো। বিশ্বকাপ খেলব আমরা। তবে পারফরমেন্স করতে হবে ওখানে। মালয়েশিয়া থেকে আমরা একটা টুর্নামেন্ট খেলে এসেছি। এখানে ৪-৫ দিনের একটা ক্যাম্প করতে পেরেছি। আমাদের যে ঘাটতি ছিল ওই জায়গাটায় কাজ করেছি। উন্নতিও করেছি।”

আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার ও এশিয়া কাপে দলের সেরা পারফরমার রুমানা আহমেদও জানালেন, দল এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী।

“আসলে আমরা বরাবরই বলে আসছিলাম আমাদের দলের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু তা দেখানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না। যখন জায়গা পাব, অবশ্যই দেখিয়ে দিব। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হয়ত অত ভালো করতে পারিনি কিন্তু ওখান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসছি। পাশাপাশি এশিয়া কাপে ভালো করেছি, চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস  দিন দিন বাড়ছে।”

এশিয়া কাপের সাফল্যে মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ অনেকগুণ বেড়েছে। তাদের ওপর প্রত্যাশাও বেড়েছে। ক্রিকেটাররাও সেটি অনুভব করছে, বললেন রুমানা। দায়িত্বটাও তাই ভালো করেই জানেন এই অলরাউন্ডার।

“আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে।  আমাদের মধ্যে যে জিনিসটা আসছে, আত্মবিশ্বাস তো আছেই, দায়িত্ব বেড়ে গেছে। পরবর্তীতে ভাল কিছু করতে হবে। ভালো যেহেতু করছি, সেটা ধরে রাখতে হবে। দায়িত্বজ্ঞানটা বেড়ে গেছে আমাদের।”

এশিয়া কাপের তুলনায় এবারের দুটি চ্যালেঞ্জই বেশ সহজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শক্তির বিচারে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকার কথা। তবে কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য হবে চ্যালেঞ্জিং।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও আয়ারল্যান্ড ছাড়া নেই শক্ত চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো উল্লেখযোগ্য দল। গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল উঠবে বিশ্বকাপে, তাই শঙ্কার জায়গা খুব বেশি নেই। এখানেও চ্যালেঞ্জ বলতে কন্ডিশন।

অধিনায়ক সালমা তবু কোনো দলকে হালকা করে দেখতে নারাজ, সহজ করে নিতে চান না কোনো ম্যাচই।

“প্রতিপক্ষ যারাই হোক না কেন, কাউকে ছোট করে দেখা উচিত না। অনেক সময় ছোট দলের সঙ্গেও খারাপ হয়ে যেতে পারে। এশিয়া কাপে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমরা যখন খেলেছি, তখন কিন্তু সেরাটা দিয়েই খেলেছি। ওখানে যে চেষ্টা ছিল, সেটা এখানেও যেন থাকে। সব দলই ভালো।”

আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনটি হবে ২৮, ২৯ জুন ও ১ জুলাই। ৭ জুলাই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউ গিনি।

এবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী নভেম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

বাংলাদেশ দল: সালমা খাতুন (অধিনায়ক),রুমানা আহমেদ, নিগার সুলতানা, ফারজানা হক, খাদিজা তুল কুবরা, ফাহিমা খাতুন, আয়েশা রহমান, শামিমা সুলতানা, নাহিদা আক্তার, পান্না ঘোষ, লিলি রানি বিশ্বাস, সানজিদা ইসলাম, শারমিন সুলতানা, জাহানারা আলম।

স্ট্যান্ড বাই: জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, সুরাইয়া আজমিন, মুর্শিদা খাতুন, লতা মণ্ডল।