৩০০ ছুঁয়ে সাকিবের ডাবল

ক্ষণ গণনা চলছিল। সেটিকে দীর্ঘায়িত করে টানা দুই ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সাকিব আল হাসান স্পর্শ করলেন টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট। পূরণ করলেন অসাধারণ এক ডাবলও। টি-টোয়েন্টিতে ৪ হাজার রান করা ও ৩০০ উইকেট নেওয়া মাত্র দ্বিতীয় অলরাউন্ডার সাকিব।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2018, 06:43 PM
Updated : 25 April 2018, 05:58 AM

৪ হাজার রান পেরিয়েছেন গত ১৪ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে। সেই ম্যাচেই দুই উইকেট নেওয়ার পর ৩০০ উইকেট ছুঁতে প্রয়োজন ছিল আর ১টি উইকেট। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে গত দুটি ম্যাচে উইকেট পাননি। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে বিপক্ষে ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই আউট করলেন রোহিত শর্মাকে। ছুঁলেন কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক।

টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট আছে আর কেবল চারজনের। ৩৭৮ ম্যাচে ৪১৪ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ডোয়াইন ব্রাভো। ২৫৬ ম্যাচে ৩৪৮ উইকেট এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং মেন্টর লাসিথ মালিঙ্গার। ২৭৬ ম্যাচে সুনিল নারাইন নিয়েছেন ৩২৪ উইকেট। ২৭৪ ম্যাচে শহিদ আফ্রিদির উইকেট ঠিক ৩০০টি।

৩০০ উইকেট নেওয়া এই চারজনের মধ্যে ব্যাট হাতে ৪ হাজার রান করেছেন কেবল ব্রাভো। অভিজাত এই ডাবলে এখন থেকে ব্রাভোর সঙ্গী সাকিব।

৩০০ উইকেট শিকারিদের মধ্যে ৩ হাজার রানও আছে আর কেবল আফ্রিদির। করেছেন ৩ হাজার ৮৯৩ রান।

সাকিব ৩০০ ছুঁলেন ২৬০ ম্যাচে। ২০১৩ ক্যারিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানের ৬ উইকেট তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। পরে ওই বছরই বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে আরেকবার ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৮ রানে। ব্যাট হাতে ২৩৭ ইনিংসে রান করেছেন ৪ হাজার ৬৯।

২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি অভিষেক সাকিবের। গত ৬ বছরে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় তিনি নিয়মিত মুখ। আইপিএল বিপিএলের পাশাপাশি খেলেছেন বিগ ব্যাশ, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি, সিপিএল, পিএসএল ও এসএলপিএলে।