মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে আগের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে এনামুল হক জুনিয়রের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন রাজ্জাক। নিজের মাঠ খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে ছাড়িয়ে গেলেন এনামুলকে।
এ নিয়ে ৩৩ বার ৫ উইকেট নিলেন রাজ্জাক। এনামুল নিয়েছেন ৩২ বার। ২২ বার ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের তিনে সাকিব আল হাসান।
রাজ্জাক এদিন নিজের ‘ট্রেডমার্ক’ আর্ম বলে বেশ ভুগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের। বিভ্রান্ত করেছেন ফ্লাইট আর গতি বৈচিত্রে। ২০.৩ ওভারের টানা বোলিংয়ে রানের সুযোগ দিয়েছেন কমই। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
দিনের ১৯তম ওভারে পঞ্চম বোলার হিসেবে রাজ্জাককে আক্রমণে আনেন নুরুল হাসান। প্রথম ওভারেই বোল্ড করে দেন নড়বড়ে জহুরুল ইসলামকে। এক ওভার পর এলবিডব্লিউ করেন ধীমান ঘোষকে।
১৫টি ডট বল খেলার পর লং অফ দিয়ে রাজ্জাককে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন আরিফুল হক। পরের বলেই প্রতিশোধ নেন রাজ্জাক। দারুণ এক আর্ম বলে বোল্ড করে দেন আরিফুলকে।
তাইজুল ইসলামকে কট বিহাইন্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন রাজ্জাক। দশম উইকেট জুটিতে সোহরাওয়ারার্দী শুভর সঙ্গে শফিউল ইসলাম যোগ করেন ৪২ রান। দক্ষিণাঞ্চলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙে উত্তরাঞ্চলকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেন রাজ্জাক।
রাজ্জাককে মিড অফের ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন শফিউল। টাইমিংয়ে গড়বড়, সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন বদলি ফিল্ডার জিয়াউর রহমান। রাজ্জাক উঠে যান রেকর্ডের চূড়ায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন রাজ্জাক এই মৌসুমেই। ১১৮ ম্যাচে তার উইকেট এখন ৫৩২টি। চলতি বিসিএলে ৬ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৩৭ উইকেট নিয়ে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টুর্নামেন্টে ২৫ উইকেটও নেই আর কারও।