বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে সিলেটে ড্র হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের ম্যাচ। ম্যাচে তুষারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে শুক্রবার শেষ দিনে পূর্বাঞ্চলকে ৪১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। লিটন ও আফিফের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে পূর্বাঞ্চল ১ উইকেটে ২২৪ রান তোলার পর ড্র হয় ম্যাচ।
দক্ষিণাঞ্চল দিন শুরু করেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৪২ রান নিয়ে। ২৯ রানে শুরু করা সৌম্য ফিরে যান আর ৬ রান যোগ করে। কিন্তু ৪৬ রানে শুরু করা তুষার এগিয়ে যায় দৃঢ় পায়ে। লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৪৪ বলে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করা বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান নিজের সেঞ্চুরির রেকর্ডকে নিয়ে গেলেন আটাশে। ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশের দ্বাদশ ব্যাটসম্যান তিনি।
পূর্বাঞ্চলের চ্যালেঞ্জ তখন দুই সেশন টিকে থাকা। তৃতীয় ওভারে ইমতিয়াজ হোসেনকে হারিয়ে কাজটা কঠিন হয়ে ওঠে আরও। কিন্তু এরপরই লিটন ও আফিফের পাল্টা আক্রমণ। যেন টিকে থাকা নয়, রান তাড়াতেই নেমেছিল তারা!
ওভারপ্রতি প্রায় ৫ রান করে তুলে দুজনে গড়েন ২০৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৯ বলে ১১৩ রান করেন লিটন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার দশম সেঞ্চুরি।
১০ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি আফিফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৩১ বলে। পঞ্চম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
আফিফের সেঞ্চুরির পরই বেলা সাড়ে তিনটাতেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪০৩
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩০০
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৬৮ ওভারে ৩১১/৭(ডি.) (আগের দিন ১৪২/৩) (তুষার ১০৩ (আহত অবসর), সৌম্য ৩৫, মিঠুন ৬৬, নুরুল ১০, দেলোয়ার ০, নাঈম ৮*, রাজ্জাক ১*; আবু জায়েদ ২/৬৩, সোহাগ ৩/৮২, খালেদ ০/৩১, আশরাফুল ২/৬১, সাইফ উদ্দিন ০/৫৩, আফিফ ০/১, অলক ০/১৮)।
পূর্বাঞ্চল: (লক্ষ্য ৪১৫) ৪৫ ওভারে ২২১/১ (ইমতিয়াজ ৯, লিটন ১১৩*, আফিফ ১০০*; কামরুল রাব্বি ১/৩২, নাঈম ০/৮৯, রাজ্জাক ০/৭৪, দেলোয়ার ০/১৬, ফজলে রাব্বি ০/১২)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: তুষার ইমরান