করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪৩ রানে জিতেছে পাকিস্তান। এই সংস্করণে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে মাত্র একটি। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১৭২ রানে জেতে শ্রীলঙ্কা।
২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বনিম্ন। ২০১০ সালে পোর্ট অব স্পেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৭৯ রান ছিল তাদের আগের সর্বনিম্ন।
রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও বাবর আজমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার ৫ ওভারে গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
বাবরের বিদায়ে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে উঠা উদ্বোধনী জুটি। রান আউট হয়ে ফিরেন ঝড় তোলা ফখর। ২৪ বলে তিনি করেন ৩৯ রান।
প্রথম চার ব্যাটসম্যানের গড়ে দেওয়া ভিত দারুণ ভাবে কাজে লাগান শোয়েব মালিক। তার সঙ্গে ফাহিম আশরাফের ২.৫ ওভার স্থায়ী ৪৭ রানের জুটিতে দুইশ পার হয় পাকিস্তানের সংগ্রহ।
মালিক ১৪ বলে দুই ছক্কা আর চার চারে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। তার দৃঢ়তায় ৫ উইকেটে ২০৩ রান করে পাকিস্তান। যা যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ। করাচিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ বছর আগে ২০৩ রান করেছিল তারা।
রান তাড়ায় প্রথম বলে ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। তবে এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চতুর্দশ ওভারেই গুটিয়ে যায় অতিথিরা।
ছক্কা হাঁকানো চ্যাডউইক ওয়ালটনকে প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। দ্বিতীয় ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচার ও জেসন মোহাম্মদকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির।
বোলিংয়ের সময় চোট পাওয়া অভিষিক্ত ভিরাসামি পেরমল ব্যাটিং করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ব্যাটসম্যান ফিরেন শূন্য রানে। দুই অঙ্কে যান কেবল মারলন স্যামুয়েলস, কিমো পল ও রায়াদ এমরিট। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্যামুয়েলসের ১৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৩/৫ (ফখর ৩৯, বাবর ১৭, তালাত ৪১, সরফরাজ ৩৮, মালিক ৩৭*, আসিল ১, আশরাফ ১৬*; বদ্রি ০/৩৭, পল ১/২৬, এমরিট ১/৪৩, উইলিয়ামস ০/৪২, পেরমল ০/৮, স্যামুয়েলস ০/৭, পাওয়েল ১/৩৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ৬০ (ওয়ালটন ৬, ফ্লেচার ০, স্যামুয়েলস ১৮, জেসন ০, রামদিন ০, পাওয়েল ৫, পল ১০*, এমরিট ১১, উইলিয়ামস ০, বদ্রি ৭, পেরমল ০* আহত অনুপস্থিত; নওয়াজ ২/১৯, আমির ২/৩, হাসান ১/০, আশরাফ ০/৯, শাদাব ১/১৩, মালিক ২/১৩, তালাত ১/৩)
ফল: পাকিস্তান ১৪৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হুসাইন তালাত