দুই হাত উঁচিয়ে কণ্ঠের সবটা জোর দিয়ে হুংকার তো ছিলই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর মুশফিকের উদযাপনে ছিল আরও কিছু। জয় এনে দেওয়া সিঙ্গেলটির পর ব্যাট ফেলে দুই হাত মাথার ওপর তুলে সাপের পর ফণা তুলে ছোবল দেওয়া ভঙ্গি করেছেন।
নাজমুল অপুর সৌজন্যে এই উদযাপন বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ চেনা। বিপিএলে এই বাঁহাতি স্পিনার এমন উদযাপন নিয়মিতই দেখা যায়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবলই শুরু হয়েছে তার পথচলা। অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে কিছুটা দেখিয়েছিলেন এই উদযাপন। তবে বাংলাদেশের বাইরে এখনও এটি সেভাবে দেখানোর সুযোগ পাননি।
অপুর না পারা পূরণ করে দিলেন মুশফিক। ম্যাচ শেষে এই উদযাপন নিয়ে তোলপাড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তুমুল আলোচনা চলছে ম্যাচের পরদিনও। সংবাদ সম্মেলনেও বিদেশি সংবাদকর্মীদের কৌতুহল ছিল মুশফিকের ‘স্নেইক ডান্স’ নিয়ে। মুশফিকের হয়ে কৌতুহল মিটিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে আসা তামিম ইকবাল।
“আমাদের বাঁহাতি স্পিনার আছেন একজন, নাজমুল ইসলাম অপু, এটা ওর উদযাপন। যখনই সে উইকেট পায়, এই স্নেইক ডান্স উদযাপনে মাতে। এটা বেশ মজার। আমার মনে হয়, মুশফিক এটা ওকেই দেখিয়েছে।”
“আমরা খুব বেশি অবাক হইনি, কারণ জানতাম এটা কাকে দেখিয়েছে। অপুর সঙ্গে এটা নিয়ে আমরা অনেক মজা করি। সবাই উপভোগও করি দারুণ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও পর্যন্ত এখানে সে উইকেট পায়নি। তবে সামনে ম্যাচগুলোয় উইকেট পেলেই দেখতে পাবেন।”
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে সিলেটে এমন উদযাপন খানিকটা দেখিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার দানুশকা গুনাথিলাকা। বাংলাদেশ দলের অনেকের ধারণা, অপুকে দেখিয়েই সেটা করেছিলেন লঙ্কান ওপেনার। মুশফিকের উদযাপন সেটিকেই ফিরিয়ে দেওয়া, এমনটিও মনে করছেন অনেকে।
নিজের এই উদযাপনের পেছনে গল্পটা বিপিএলের সময় শুনিয়েছিলেন অপু। এবার রংপুর রাইডার্সে খেললেও আগের আসরে খেলেছিলেন রাজশাহী কিংসে। তখনই এটা শুরু, বলেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
“গতবার রাজশাহীতে খেলার সময় একদিন এরকম করেছিলাম। ড্যারেন স্যামি (রাজশাহীর অধিনায়ক) ভয় পাওয়ার মত ভঙ্গি করেছিল মজা করে। সবাই এটা নিয়ে মজা করেছিল অনেক। পরে ম্যাচেও শুরু করি, সবাই মজা পেয়ে যায়। এভাবেই শুরু হয়ে গেছে।”
মুশফিকের হাত ধরে অপুর ‘স্নেইক ডান্স’ এখন ছড়িয়ে পড়ল আরও বড় পরিসরে।