ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে মোহামেডানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স। মোহামেডানের ২৩০ রান ১৬ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে রনি তালুকদারকে হারায় মোহামেডান। পাকিস্তানের ওপেনার সালমান বাটের সঙ্গে ৯৪ ও রকিবুল হাসানের সঙ্গে ৭০ রানের দুটি জুটিতে দলকে ২ উইকেটে ১৮২ রানের দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যান শামসুর রহমান।
৫ রানের মধ্যে রকিবুল, ইরফান শুক্কুর ও শামসুরকে ফিরিয়ে ম্যাচের চিত্রটা পাল্টে দেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মেহেদী হাসান রানা। ১০৭ বলে ৮৫ রান করে ফিরেন মোহামেডান অধিনায়ক শামসুর।
শেষের দিকের কোনো ব্যাটসম্যান এগিয়ে আসতে পারেননি। আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়ে মোহামেডান থামে ২৩০ রানে।
ব্রাদার্সের বাঁহাতি স্পিনার শুভ ২ উইকেট নেন ৪০ রানে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ব্রাদার্সের। জুনায়েদ সিদ্দিক ও ইয়াসির আলী চৌধুরী কাজে লাগাতে পারেননি ভালো শুরু। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি প্রতিরোধ করে কাপালী ও জন সিম্পসনের ব্যাটে। দুই জনে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১০৫ রানের জুটি।
ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সিম্পসনকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন এবাদত হোসেন। দ্রুত ফিরেন মাইশুকুর রহমান। তার সুবিধা নিতে পারেনি মোহামেডান। শুভর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রানের জুটিতে দলকে জয় এনে দেন কাপালী।
৩৩ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শুভ। জয় সঙ্গ নিয়ে মাঠ ছাড়া কাপালী ৯৫ রানে। ম্যাচ সেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ৯১ বলের ইনিংসটি গড়া ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়।
মোহামেডানের কাজী অনিক ও এবাদত নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৩০/৮ (রনি ৬, সালমন ৬২, শামসুর ৮৫, রকিবুল ২৭, ইরফান ২, সাঈদ ২১, এনামুল ১১, অনিক ৫, বিশ্বনাথ ০*; সাজ্জাদ ১/১০, খালেদ ১/৬১, রানা ১/৪৭, নিহাদ ০/৩৪, শুভ ২/৪০, কাপালী ১/৩৫)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৭.২ ওভারে ২৩২/৫ (মিজানুর ৪, জুনায়েদ ২২, ইয়াসির ২১, সিম্পসন ৩৯, কাপালী ৯৫, মাইশুকুর ৯, শুভ ৩০*; শুভাশিস ১/৪৭, এনামুল ০/৪৪, অনিক ২/৪২, এবাদত ২/৩১, বিশ্বনাথ ০/৫১, শামসুর ০/১০)
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অলক কাপালী