আগের দুই ম্যাচের মতোই তামিমের ব্যাটিং ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু হুট করেই ভুল করে বসলেন। গ্রায়েম ক্রিমারকে উড়িয়ে মারতে গেলেন বেরিয়ে এসে। অনায়াসেই স্টাম্পড। খানিক আগেই আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। এর পর তামিমের বিদায় বিপাকে ফেলে দেয় দলকে।
শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডাররা দলকে দুইশ পার করান। বাংলাদেশ জিতেছে বড় ব্যবধানে। তবে নিজের দায়টুকু ভুলে যাননি তামিম।
“ওই সময় আক্রমণ করার জন্য ভুল সময় ছিল। লেগস্পিনার ছিল, আমি বাঁহাতি। আমারই সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমি অনেকক্ষণ থেকেই তাকে টার্গেট করছিলাম। কারণ তখন আমাদের উইকেটের পর উইকেট পড়ছিল। ভাবছিলাম এই সময়ে যদি আমি ওকে (ক্রিমার) এক-দুইটা মেরে দিতে পারি, তাহলে চাপে পড়ে যাবে।”
“মুশফিক থাকার সময়েও যদি আমি মারতে গিয়ে আউট হতাম, তাহলেও সমস্যা হতো না। কারণ আমাদের তখনও ৫-৬ টা ব্যাটসম্যান বাইরে ছিল। কিন্তু যে সময় আমি আউট হয়েছি তখন যদি আমি আরও পাচটা ওভার জুটি গড়ে যেতে পারতাম, তাহলে বেশি ভালো হতো। যে শটটা খেলে আউট হয়েছি সেটাও ভুল ছিল, সময়টাও ঠিক ছিল না।”
সেই ভুলে সেঞ্চুরিটাও হাতছাড়া করেছেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানে ছিলেন অপরাজিত। পরের ম্যাচে ৮৪ রানেই আউট হয়েছেন দারুণ এক বলে। কিন্তু এবার সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার দায় পুরোটাই তার নিজের। সেই আফসোস তার নিজের কণ্ঠেও।
“সেঞ্চুরি করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো হতো। শেষ তিন ম্যাচে এতদূর এসেও সেঞ্চুরি করতে না পারাটা হতাশার। এটা আমার বলার দরকার নেই, আপনারাও বুঝতে পারছেন। আজ ভালো সুযোগ ছিল। খুব বিশেষ কিছু না, যদি আরও ৬-৭ ওভার ব্যাট করতে পারতাম, তাহলে সেঞ্চুরি করতে পারতাম।”
সেঞ্চুরি না পেলেও এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রানের বিশ্ব রেকর্ড এদিন গড়েছেন তামিম। আর বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে করেছেন ৬ হাজার রান।