বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ৭৩৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশে এর চেয়ে বড় স্কোর আছে মাত্র দুটি।
১০১৩-১৪ মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটে করা ঢাকার ৭৫৬ এখনও সেরা। গত বছর বিসিএলে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষেই ৮ উইকেটে ৭৪৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণাঞ্চল।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ৩৩২ রান নিয়ে সোমবারের খেলা শুরু করে পূর্বাঞ্চল। জাকির ১৫৬ ও তাসামুল হক ৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেন।
দুইশ ছাড়ানোর পর বেশিক্ষণ টিকেননি তরুণ জাকির। আগের দিন পঞ্চম সেঞ্চুরি পাওয়া এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৩২০ বলে ২৩টি চারে ফিরেন ২১১ রান করে।
সেঞ্চুরি পাওয়া দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির ও কাপালীর ২২১ রানের বিশাল জুটিতে সাতশ রানের কাছাকাছি যায় পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া ইয়াসির ফিরেন ক্যারিয়ার সেরা ১৩২ রানের ইনিংস খেলে। তার আগের সেরা ছিল অপরাজিত ১১০।
রান দেওয়ার সেঞ্চুরি হয়ে গেছে মধ্যাঞ্চলের চার বোলারের। সবচেয়ে বেশি ১৮৩ রান দেওয়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোম চৌধুরী ১৮৩ রানে নেন ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার ১৬৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। ১২২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন। পেসার তাসকিন ১১৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট ৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে মধ্যাঞ্চল। ১৭ রান করা রবিউল ইসলাম রবিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সোহাগ।
সাদমান ইসলাম ১৮ ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র ৩ রানে অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৬৪ ওভারে ৭৩৫/৬ ডিক্লে. (লিটন ১১২, মারুফ ১৭, মুমিনুল ৪, জাকির ২১১, তাসামুল ৬০, ইয়াসির ১৩২, কাপালী ১৬৫*, সোহাগ ১৬*; তাসকিন ১/১১৩, হায়দার ১/৬৭, মোশাররফ ০/১২২, শুভাগত ৩/১৮৩, তানবীর ০/১৬৪, রবি ০/১৪, মেহরাব জুনিয়র ০/৪৮, মার্শাল ০/৯)
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১ ওভার ৪০/১ (রবি ১৭, সাদমান ১৮*, মেহরাব জুনিয়র ৩*; খালেদ ০/২০, সোহাগ ১/১৩, নাজমুল ০/৭)