সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রানে অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার ভারত দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে।
আরেক পাশে লম্বা সময় কাউকে না পাওয়া কোহলি অপরাজিত ৮৫ রানে। শুধু রান সংখ্যায় নয়, ভারতীয় অধিনায়কের ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকার জবাব ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণেও। লড়াই করেছেন দারুণ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে।
দিনের শুরু ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে, ৬ উইকেটে ২৬৯ রানে। শেষ ৪ উইকেট লাঞ্চের আগেই নিয়ে নেয় ভারত। বড় বাধা হয়ে থাকা প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি ফিরে যান ৬৩ রানে।
ভারতের সফলতম বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উপমহাদেশের বাইরে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের দুর্নাম ঘোচানোর চেষ্টায় থাকা এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ৪ উইকেট।
লাঞ্চের আগে এক ওভারের জন্য ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ওভারটি করেন বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ। সেই ১৯১২ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ইনিংসে বোলিং শুরু করলেন কোনো স্পিনার।
সেই ওভারে বিপদ হয়নি ভারতের। তবে লাঞ্চের পর খুব সময়ও লাগেনি উইকেট হারাতে। দলে ফেরা লোকেশ রাহুলকে দারুণ ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়ে দেন মর্নে মর্কেল। পরে বলেই লুঙ্গি এনগিডির দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট চেতেশ্বর পুজারা।
তৃতীয় উইকেটে মুরালি বিজয় ও বিরাট কোহলি গড়েন দারুণ জুটি। ৭৯ রানের এই জুটি ভাঙে চা বিরতির পর। ৪৬ রানে বিজয়কে ফেরান মহারাজ।
এরপর পাঁচে নেমে রোহিত শর্মা ব্যর্থ আবার। শুরুটা ভালো করলেও ১৯ রানে পার্থিব প্যাটেলকে ফিরিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান অভিষিক্ত এনগিডি।
এসবের মাঝেও কোহলি ছিলেন অটল। খেলে গেছেন নিজের মত। দর্শকদের মাতিয়েছেন দারুণ সব ড্রাইভ ও পুল শটে। দিন শেষ করেছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়।
অধিনায়কের ব্যাটের ওপর হয়তো নির্ভর করছে তৃতীয় দিনে কত দূর যাবে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৩.৫ ওভারে ৩৩৫(আগের দিন ২৬৯/৬)( দু প্লেসি ৬৩, মহারাজ ১৮, রাবাদা ১১, মর্কেল ৬, এনগিডি ১*; বুমরাহ ০/৬০, শামি ১/৫৮, ইশান্ত ৩/৪৬, পান্ডিয়া ০/৫০, অশ্বিন ৪/১১৩)।
ভারত: ৬১ ওভারে ১৮৩/৫ (বিজয় ৪৬, রাহুল ১০, পুজারা ০, কোহলি ৮৫*, রোহিত ১০, পার্থিব ১৯, পান্ডিয়া ১১*; মহারাজ ১/৫৩, মর্কেল ১/৪৭, ফিল্যান্ডার ০/২৩, রাবাদা ১/৩৩, এনগিডি ১/২৬)।