তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। এখনও পাননি তিন অঙ্কের স্বাদ। এই আক্ষেপ পোড়ায় সাব্বিরকেও। শনিবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে জানালেন, আসছে ত্রিদেশীয় সিরিজেই চান এই অপূর্ণতা ঘোচাতে।
“আপনারা যেমন হতাশ, আমিও আসলে এটা নিয়েই হতাশ যে সেঞ্চুরি করতে পারিনি। চেষ্টা করছি সেঞ্চুরির। আশা করছি, দ্রুতই সেঞ্চুরি করতে পারব। এই সিরিজে নিজের খেলাটা খেলতে পারব। চাইব আগ্রাসী থেকে নিজের খেলাটা খেলতে।
নিজের সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন সবচেয়ে ছোট সংস্করণে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ৮০ রান। টি-টোয়েন্টিতে আরও দুটি ফিফটিতে রান ৫০ ও ৫১। টেস্টে চারবার ৫০ ছুঁয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ৬৬। ওয়ানডেতে ৫ ফিফটিতে সর্বোচ্চ ৬৫।
তার শট খেলার সামর্থ্য নিয়ে সংশয় নেই। অনেকের মতে, বড় ইনিংস খেলতে না পারার কারণ সাব্বিরের টেম্পারামেন্টের ঘাটতি। যদিও সাব্বির সেটিকে সমস্যা মনে করছেন না।
“এটা টেম্পারামেন্টের ব্যাপার না। আমার খেলাই আসলে এমন। আগে যখন তিন নম্বরে খেলতাম, তখন ব্যাপারটা অন্য রকম ছিল। এখন ছয়-সাত বা পাঁচ-ছয়ে খেলব। আমি যখন যেখানে খেলার সুযোগ পাব, চেষ্টা করব পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। এখন আমি চিন্তা করছি, কখন কিভাবে খেলা উচিত তা নিয়ে। যদি উইকেটে থাকি, ম্যাচ শেষ করব।”
ক্যারিয়ারে পারফর্ম করে যতটা খবর হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি খবরের শিরোনাম হয়েছেন বিতর্কের জন্ম দিয়ে। কিছু দিন আগে হজম করতে হয়েছে এত বড় শাস্তি, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেই যেটির তুলনীয় কিছু নেই।
তবে সেসব অধ্যায় পেছনে ফেলে সামনে তাকাচ্ছেন সাব্বির। জানালেন ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য তিনি প্রস্তুত। কাজ করেছেন নিজের ব্যাটিংয়ের কিছু দুর্বলতা সারাতে।
“ব্যক্তিগতভাবে আমি ভালোভাবেই প্রস্তুত। যদিও গত কয়েকটা ম্যাচ আমার খারাপ গেছে। চেষ্টা করেছি, আমার যেটা দুর্বল জায়গা, সেটা শক্ত করার জন্য। ওটা নিয়ে কাজ করেছি। এখন দেখা যাক, সামনে ম্যাচ আসছে। ভালো করার চেষ্টা করব।”
“স্পিন খেলা নিয়ে কাজ করেছি। ফ্রন্ট ফুট নিয়ে কাজ করেছি। নেটে একা এগুলো নিয়ে কাজ করেছি। যে দুর্বলতা ছিলো, তা সারিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। ম্যাচে রান পাওয়া আসলে কপালের ব্যাপার। রান না পেলেই টেকনিক ভালো না, রান করলে ভালো; ব্যাপারটা সেরকম নয়। আমি চেষ্টা করছি, দুর্বলতাগুলো যেন ফিরে না আসে।”