বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ সময়। এরপর তালিকা প্রকাশ করে বিসিসিআই।
কলকাতা ধরে রেখেছে টি-টোয়েন্টির দুই ‘হটকেট’ সুনিল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেলকে। তিনবার ডোপ পরীক্ষায় হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় আপাতত নিষিদ্ধ হয়ে আছেন রাসেল। তার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি।
সুযোগ থাকলেও কলকাতা ধরে রাখেনি তাদের পরীক্ষিত পারফর্মার ও অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে।
সাকিব তার আইপিএল ক্যারিয়ারের পুরোটাই খেলেছেন কলকাতায়। ২০১১ আইপিএলের নিলামে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারের কিনে নেয় দলটি। সেই আসরে খেলেন ৭ ম্যাচ। পরের আসরে খেলেছেন ৮ ম্যাচ। বড় অবদান রাখেন দলের শিরোপা জয়ে। খেলতে পারেননি ২০১৩ আসরে।
২০১৪ আইপিএলে সাকিবকে ধরে রাখেনি কলকাতা। তবে আবারও কিনে নেয় নিলাম থেকে, এবার ২ কোটি ৮০ লাখ রূপিতে। সেবারই সর্বোচ্চ ১৩টি ম্যাচ খেলেন সাকিব। ২০১৫ আসরে খেলেন ৪ ম্যাচ, ২০১৬ আসরে ১০টি। সবশেষ গতবছর খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটি ম্যাচে।
আইপিএল ক্যারিয়ারে ২১.৬৫ গড়ে ৪৯৮ রান করেছেন সাকিব, ওভার প্রতি ৭.১৭ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৪৩টি।
এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ধরে রেখেছে বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা সরফরাজ খানকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পছন্দ রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়া।
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আসা চেন্নাই সুপার কিংস অনুমিত ভাবেই ধরে রেখেছে মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়না ও রবীন্দ্র জাদেজাকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আরেক দল রাজস্থান রয়্যালসের আস্থা পেয়েছেন শুধু স্টিভেন স্মিথ।
ক্রিস মরিস, রিশাভ পান্ত ও শ্রেয়াস আইয়ারকে রেখে দিয়েছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই থাকছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ভুবনেশ্বর কুমার।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একমাত্র পছন্দ আকসার প্যাটেল।