রোববার রাতে শারজাহতে ফাইনালে পাঞ্জাবি লিজেন্ডসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কেরালা কিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভারে ১২০ রান তোলে পাঞ্জাবি লিজেন্ডস। ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৩৪ বলে ৭০ করেন লুক রনকি। ১৪ বলে ২৬ শোয়েব মালিক।
বল হাতে প্রথম ওভারে ১০ রান দেন সাকিব। পরের ওভারে গুনেছেন ২১। কেরালার লিয়াম প্লাঙ্কেট ও রায়াদ এমরিট নেন একটি করে উইকেট।
ওয়েন মর্গ্যানের ব্যাটিং তাণ্ডবে বড় রান তাড়ায়ও কেরালা জিতে যায় ২ ওভার বাকি রেখেই। ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ২১ বলে ৬৩ করেন কেরালা অধিনায়ক মর্গ্যান। ৫ ছক্কায় ২৩ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলা পল স্টার্লিং। সাকিবকে নামতে হয়নি ব্যাটিংয়ে।
ফাইনালের আগে একই দিন হয়েছে দুটি সেমি-ফাইনাল। প্রথম সেমি-ফাইনালে কেরালা কিংসের জয়েও ম্যাচ সেরা ছিলেন অধিনায়ক মর্গ্যান। মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কেরালা কিংস।
প্রথম দুই ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা মারাঠা ১০ ওভারে তোলে ৯৭। ডোয়াইন ব্রাভো করেন ১৯ বলে ২৭। সোহেল তানভির নেন ৩ উইকেট, প্লাঙ্কেট ও এমটি দুটি করে। বোলিং করার সুযোগ পাননি সাকিব।
রান তাড়ায় ৩২ বলে ৫৩ করেন মর্গ্যান। সাকিব ব্যটিংয়ে নামলেও রান আউট হন কোনো বল না খেলেই। কেরালা জিতে যায় ৫ বল বাকি রেখে।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে তামিম ইকবালের পাখতুনস হেরে যায় পাঞ্জাবি লিজেন্ডসের কাছে।
শুরুটা দারুণ করলেও তামিম বড় করতে পারেননি ইনিংস। আউট হন ৯ বলে ১৭ রান করে।
তামিমের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী আহমেদ শেহজাদ ২৯ বলে করেন ৫৮। ৫ ছক্কায় ১৭ বলে ৪১ করেন শহিদ আফ্রিদি। ১০ ওভারে পাখতুনস তোলে ১২৯ রান।
বিশাল এই রান তাড়ায়ও অনায়াসে জিতে যায় পাঞ্জাবি লিজেন্ডস। ৩৪ বলে অপরাজিত ৬০ করেন লুক রনকি। ১৭ বলে অপরাজিত ৪৮ শোয়েব মালিক। মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই জিতে যায় তারা।
তবে ফাইনালে পাঞ্জাবি লিজেন্ডস পেরে ওঠেনি কেরালা কিংসের কাছে।