গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাইফ। এরপর গত বিপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। তবে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি, ছিলেন না নিয়মিত।
তবে সাইফের ক্যারিয়ার এগিয়ে গেছে। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন। এরপর হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে। সম্প্রতি জাতীয় দলের হয়ে সফর করে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। এতসব অভিজ্ঞতায় বেড়েছে তার আত্মবিশ্বাস।
সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন বিপিএলের পারফরম্যান্সেও। তাকে এবার ধরে রেখেছে কুমিল্লা। মিলতে শুরু করেছে প্রতিদান। প্রথম ম্যাচে দল হারলেও ২ ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ৯। দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার চিটাগং কিংসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। জয়ের নায়ক সাইফ উদ্দিন।
উড়ন্ত সূচনা পাওয়া চিটাগংকে মাটিতে নামিয়েছেন সাইফ উদ্দিনই। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ থেকে চিটাগং ২০ ওভারে আটকে গেছে ১৪৩ রানে। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ সাইফ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাইফ হাসানের কণ্ঠে ফুটে উঠলো সেই ভালো লাগা।
“এটা টুর্নামেন্টে আমাদের প্রথম জয়। ভালো লাগছে। বিশেষ করে, জয়ের পিছনে আমার অবদান ছিল। এ জন্য ভালো লাগাটা অনেক বেশি।”
থিতু হয়ে যাওয়া সৌম্য সরকার ও এনামুল হককে তিন বলের মধ্যে ফিরিয়ে ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন সাইফ। তার মতে, সৌম্যর উইকেট ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।
“উনি ভালোভাবে থিতু হয়ে ছিলেন। বেশ কিছু বাউন্ডারি মেরেছেন। তখন তার উইকেট পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি চেষ্টা করেছি, তাকে ডট খেলানোর জন্য। তাতে সফল হয়ে উইকেট পেয়েছি।”
গত বিপিএলের সঙ্গে এবারের বিপিএলে নিজের মানসিকতার পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারছেন ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। বললেন, জাতীয় দলে খেলে অনেক বেড়েছে আত্মবিশ্বাস।
“সত্যি বলতে, এবার আমার দ্বিতীয় বিপিএল। প্রথম ম্যাচে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু এবার খুব উপভোগ করছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আমার জন্য অনেক কিছু শেখার উপলক্ষ্য ছিল। সেখান থেকে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি।”
এই বিপিএলও যোগ হবে তার অভিজ্ঞতায়। হয়ত এগিয়ে যাবেন আরও সামনে।