শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের চাই ১১৯ রান, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তখনও পর্যন্ত ম্যাচ ছিল এক তরফাই। নাটকের শুরু দ্বিতীয় ইনিংস থেকে। তৃতীয় দিন বিকেলে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
সোমবার চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কা গুটিয় যায় ৯৬ রানে। পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১৭। সেই রান তাড়ায় ৫২ রানেই পাকিস্তান হারায় ৫ উইকেট।
অমন বিপর্যয়ের পর অসাধারণ এক জুটি গড়েন আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ। চতুর্থ দিনে আর উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। ধ্বংসস্তুপ থেকে জাগিয়েছে জয়ের সম্ভাবনা।
৫ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কাকে এদিন খানিকটা টানেন কুসল মেন্ডিস ও নিরোশার ডিকভেলা। পরে ৩ চারে ১৭ রান করেন রঙ্গনা হেরাথ। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে যাচ্ছিল একশর দিকে। বাধ সাধেন হারিস সোহেল।
অনিয়মিত এই বাঁহাতি স্পিনার চোখের পলকে মুড়িয়ে দেন শ্রীলঙ্কার লেজ। ১ ওভারেই ৩ উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দেন শ্রীলঙ্কাকে।
মোমেন্টাম তখন পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু দ্রুত আবার তা নিজেদের দিকে টেনে নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুতে দুই উইকেট নেন দুই পেসার। পরে দারুণ বোলিংয়ে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বিপদে ঠেলে দেন দিলরুয়ান পেরেরা।
ম্যাচ তখন চতুর্থ দিনেই শেষ হওয়ার পথে। উইকেটে পাকিস্তানের ভরসার শেষ জুটি। সেই জুটিই দারুণভাবে ম্যাচে ফেরাল পাকিস্তানকে। সিরিজে আগের তিন ইনিংসে ব্যর্থ শফিক দিন শেষে অপরাজিত ১৪১ বলে ৮৬ রানে। অধিনায়ক সরফরাজের ব্যাটে এসেছে অপরজিত ৫৭। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৪৬।
মোমেন্টাম আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে। তবে একটি উইকেট ঘুরিয়ে দিতে পারে মোড়। নতুন দিনে শ্রীলঙ্কা শুরু করবে নতুন আশায়। কে জানে, আরও কত নাটক জমা রেখেছে দুবাই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৮২
পাকিস্তান: ২৬২
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২৬ ওভারে ৯৬ (আগের দিন ৩৪/৫) (মেন্ডিস ২৯, ডিকভেলা ২১, পেরেরা ০, হেরাথ ১৭, গামাগে ১*, প্রদিপ ০; আব্বাস ১/৬, ইয়াসির ২/৪৭, ওয়াহাব ৪/৪১, সোহেল ৩/১)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ৭৩ ওভারে ১৯৮/৫ (লক্ষ্য ৩১৭)(মাসুদ ২১, আসলাম ১, আজহার ১৭, সোহেল ১০, শফিক ৮৬*, বাবর ০, সরফরাজ ৫৭*; লাকমল ০/২৮, গামাগে ১/২৭, হেরাথ ০/৫২, প্রদিপ ১/৬, পেরেরা ৩/৭৬, মেন্ডিস ০/৭)।