ব্লুমফন্টেইনে বাংলাদেশের পরীক্ষা বাউন্সে

খেলাটা যদি দুই মাস পর হতো, অধিনায়কের সব চাওয়া পূরণ করা যেত- বলছিলেন নিকো প্রিটোরিয়াস। দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু ম্যানগাউং ওভালের কিউরেট জানালেন, ফাফ দু প্লেসির হয়তো একটা চাওয়া পূরণ হতে পারে। সেনওয়েস পার্কের তুলনায় থাকবে বাড়তি বাউন্স।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতব্লুমফন্টেইন থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2017, 04:12 PM
Updated : 4 Oct 2017, 04:12 PM

৩৩৩ রানে প্রথম টেস্ট জেতার পর দু প্লেসি বলেছিলেন, দ্বিতীয় টেস্টে সবুজ ঘাসের উইকেট চান তিনি। বোলারদের জন্য চান গতি, বাউন্স আর মুভমেন্ট।

শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টের উইকেটের সঙ্গে এই ম্যাচের উইকেটে প্রিটোরিয়াস একটাই বড় পার্থক্য দেখেন।

“মূল পার্থক্য হল, এই উইকেটে বাউন্স থাকবে। এখানকার মাটি পচেফস্ট্রুমের চেয়ে আলাদা। এই উইকেটে আপনি সব সময় বাউন্স পাবেন।”

কেন দু প্লেসির আর কোনো চাওয়া পূরণ করা সম্ভব নয় তার ব্যাখ্যাও দিলেন কিউরেটর।

“চাইলেও এই মুহূর্তে সবুজ উইকেট করা সম্ভব নয়। কারণ, নয় মাস পর এই প্রথম বৃষ্টি হল। প্লেসির চাওয়া অনুযায়ী উইকেট বানাতে এখনও দুই মাস সময় প্রয়োজন। দুই মাস পর এই ম্যাচ হলে পুরোপুরি সবুজ ঘাসের উইকেট দেওয়া সম্ভব ছিল। সেটা খুব বিপজ্জনক উইকেট হত।”

গত মঙ্গলবার মৌসুমে প্রথমবারের মতো বৃষ্টি হয় ব্লুমফন্টেইনে। বুধবার বৃষ্টির বাধায় পড়ে বাংলাদেশের অনুশীলন। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেট দল ফ্রি স্টেটের সাবেক পেসার প্রিটোরিয়াস বুধবার কথা বলছিলেন বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।

জানালেন, আসলে এটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো একটা উইকেট হতে যাচ্ছে।

“ম্যাচের আগে উইকেট রোল করতে হবে। তখন সবুজ ঘাসের ডগা ভেঙে যাবে। তাই ততটা গতি থাকবে না। বোলারদের জন্য শুরুর ঘণ্টা দুয়েক একটু মুভমেন্ট থাকবে। এরপরের সময়টুকু ব্যাটসম্যানদের। যদিও উইকেটে আর্দ্রতা থাকায় বাউন্স থাকবেই।”

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হান্সি ক্রনিয়ের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা প্রিটোরিয়াস ভালো করেই জানেন, বাউন্স কতটা ভোগায় বাংলাদেশকে। ২০০৮ সালে এই মাঠের সবশেষ টেস্টে বাউন্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। আউট হয়েছিল ১৫৩ ও ১৫৯ রানে। এই মাঠের সর্বনিম্ন রানের দুটি ইনিংসই বাংলাদেশের।

আর এখানে খেলা চার টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে চারশ ছাড়ানো রান। স্বাগতিকরা কেন এখানে রান পায় তার ব্যাখ্যাও দিলেন কিউরেটর।

“বাউন্সেও কি করে রান করা যায় সেটা ওরা জানে। জ্যাক ক্যালিস, গ্রায়েম স্মিথ, শচিন টেন্ডুলকারের দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস আছে। বাউন্সারে আপার কাটে থার্ড ম্যান দিয়ে ওরা প্রচুর রান পেয়েছে।”

চার টেস্টে ব্লুমফন্টেইনে সেঞ্চুরি আছে সাতটি। বাংলাদেশের একমাত্র টেস্টের সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহিমের ৪৮।

প্রায় নয় বছর পর টেস্ট হবে ব্লুমফন্টেইনে। এত লম্বা সময় পর চাহিদামত টেস্ট উইকেট বানানো খুব সহজ কাজ নয়। এই প্রসঙ্গেই কিছু দিন আগে হয়ে যাওয়া প্রথম শ্রেণির এক ম্যাচের কথা বলছিলেন প্রিটোরিয়াস।

“এখানে কখনও কখনও উইকেট দিন দিন (ব্যাটিংয়ের জন্য) ভালো হতে থাকে। প্রথম ইনিংসে দেড়শ রানে গুটিয়ে যাওয়া দল কিছু দিন আগেই পরের ইনিংসে পাঁচশ রান করে ম্যাচ বাঁচিয়েছে।”

এই উইকেটে অতিথি দলের ব্যাটসম্যান কেমন করেন দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন প্রিটোরিয়াস। মুশফিকের দল কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দেখার জন্য তাকিয়ে আছে বাংলাদেশও।