এত গরমে আগে খেলেননি ওয়ার্নার

উপমহাদেশে প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায়, ভীষণ টার্নিং উইকেটে। মিরপুর টেস্টের সেঞ্চুরিটিকে ডেভিড ওয়ার্নার বলেছিলেন তার ক্যারিয়ারের সেরা সেঞ্চুরি। সেই সেরা ‘অতীত’ হয়ে গেল পরের ইনিংসেই!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2017, 03:22 PM
Updated : 6 Sept 2017, 03:22 PM

চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি করলেন দলের প্রথম ইনিংসে। তার কাছে এই সেঞ্চুরি তবু এগিয়ে। তার ক্যারিয়ার সেরা। এই ইনিংস শুধু স্কিলের পরীক্ষা নয়, ছিল তার শারীরিক সক্ষমতা ও তার টেম্পারামেন্টের পরীক্ষাও। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা করলেন সেসবই।

“ধৈর্যের দিক থেকে বললে অবশ্যই এটি (সেরা)। আমি সবসময় বলি এই ধরনের কন্ডিশনে লম্বা সময় ব্যাট করার কথা। এই টেস্টের মতো এত গরমে আগে কখনই খেলিনি। প্রথম দিন থেকে শুরু করে প্রতিটি মিনিট ছিলাম মাঠে। ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

সেঞ্চুরি ছুঁতে ওয়ার্নারের সময় লেগেছে ৩১৩ মিনিট। ২০৯ বলে স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্ক। সময়ের হিসেব বা বলের, দুটিতেই তার মন্থরতম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর আগে সেঞ্চুরি করতে দেড়শ বল লেগেছে তার মাত্র একবার (১৫৪ বলে)। এটিকে সেরা বলার কারণটি তাই সহজে অনুমেয়। সেঞ্চুরিতে বাউন্ডারি ছিল মাত্র পাঁচটি!

তবে বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক মাঠ সাজানোও তার ইনিংসে বড় ভুমিকা রেখেছে, বললেন ওয়ার্নার।

“ওরা যেভাবে মাঠ সাজিয়েছে এবং যা করতে চেয়েছে, আমার ইনিংসটির গতিপথও সেভাবে এগিয়েছে। প্রথম বল থেকেই যেভাবে মাঠ সাজানো হয়েছিল, বোঝা গেছে তাদের চাওয়া। গত টেস্টের মত ব্যাটসম্যানের কাছ ঘেঁষে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো হয়নি।”

“এতে যেটা হয়েছে, আমি অনায়াসেই এক-দুই নিতে পেরেছি। ক্রিজের বাইরে খুব একটা আসতে হয়নি। যে লেংথে ওরা বল করেছে, আমার মানিয়ে নেওয়া তাতে সহজ হয়েছে।”

বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের মাঠ সাজানো নিয়ে প্রশ্ন ওঠা নতুন নয়। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান এভাবে বলে ফেলা অবশ্য বেশ বিরলই। তবে এমন উপহার পেয়ে তিনি বলতেই পারেন। সেরা ইনিংস গড়ার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার!