স্কটল্যান্ডের পাশাপাশি ইংলিশ কাউন্টিতে সাসেক্সে খেলতেন মাচান। কবজির এই চোটে গত মৌসুমের অর্ধেক খেলতে পারেননি। পরে অস্ত্রোপচার করান গত সেপ্টেম্বরে। কিন্তু লাভ হয়নি তাতেও। চোট সারেনি পুরোপুরি। খেলা চালিয়ে গেলে ভোগাবে ভবিষ্যতেও। মাচান তাই হারটাই মেনে নিলেন। বিদায়ের ঘোষণাতে কণ্ঠে মিশে থাকল বিষাদ।
“গভীর দু:খ ও ভীষণ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানাচ্ছি যে আমি অবসর নিতে বাধ্য হচ্ছি। চিকিৎসকের পরামর্শের পর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটিকেই বিবেচনায় নিতে হচ্ছে।”
“আমি বিশ্বাস করি, ব্যাটসম্যান হিসেবে কেবলই নিজেকে খুঁজে পেতে শুরু করেছিলাম। খুবই দু:খজনক যে আগেভাগেই থামতে হলো, কারণ আমার আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল।”
আক্রমণাত্মক এই বাঁহাতি ছিলেন স্কটিশ ব্যাটিং লাইনআপের বড় ভরসা। জন্ম সাসেক্সের ব্রাইটনে। স্কটিশ মায়ের সূত্রে ২০১২ সালে স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৩ সালে। চতুর্থ ওয়ানডেতেই করেন ১১১ বলে ১১৪।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত বছর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচেই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল স্কটল্যান্ড। হংকংয়ের বিপক্ষে সেই জয়ে ম্যাচ সেরা ছিলেন মাচান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অফ স্পিনে উইকেটও পেয়েছেন ১৪টি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে স্কটল্যান্ড ও সাসেক্সের হয়ে ৪৪ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরিতে করেছেন ২ হাজার ৮৯ রান। সম্ভাবনা যথেষ্টই ছিল। কিন্তু অসম্পূর্ণই থেকে গেল তার ক্যারিয়ারের গল্প।