ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৩৭ রানের জয়ে সুপার সিক্সে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই টিকিয়ে রেখেছে প্রাইম ব্যাংক। আট ম্যাচে এটি তাদের ষষ্ঠ জয়, প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা পারটেক্সের সপ্তম পরাজয়।
ফতল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ ওভার ২ বলে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স।
যতিন সাক্সেনার সঙ্গে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন জনি তালুকদার। ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় তার ৬৯ রানের ওপর ভর করে এক সময়ে পারটেক্সের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৪৬ রান।
ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে জনির ৬৩ রানের জুটি ভাঙার পরই দিক হারায় পারটেক্স। দলটির শেষ ৮ উইকেটের পতন হয় মাত্র ৪৬ রানে।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ৩ উইকেট নেন ২৩ রানে। আসিফ ২ উইকেট নেন ৩৪ রানে।
জবাবে ২৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১১৪ রান করে প্রাইম ব্যাংক। এরপর বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য সে সময় দলটির দরকার ছিল ৭৮ রান।
৬৯ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মারুফ। প্রমোশন পেয়ে তার সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করা জাকির অপরাজিত ৫৫ রানে। তার ৭৫ বলের ইনিংসটি গড়া ৪টি চার ও একটি ছক্কায়। চমৎকার ইনিংসের সঙ্গে তিনটি স্টাম্পিংয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তরুণ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব:
৪৬.২ ওভারে ১৯২ (জনি ৬৯, যতিন ৪০, সাজ্জাদ ৪, ইরফান ২৬, সাজ্জাদুল ০, জুবায়ের ৪, মাসুদ ২১, মাসুম ১৩*, রাজিবুল ৫, ইমরান ০, মামুন ০; আল আমিন ০/২৭, নাহিদ ১/৩৭, নাজমুল ৩/২৩, তাইবুর ১/১৬, আল আমিন জুনিয়র ১/৩৮, আরিফুল ১/১৫, আসিফ ২/৩৪)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব:
২৪ ওভারে ১১৪/০ (মারুফ ৫২*, জাকির ৫৫*; মামুন ০/২২, মাসুম ০/২০, মাসুদ ০/১৬, রাজিবুল ০/৩০, ইমরান ০/১৬, যতিন ০/৮)
ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৩৭ রানে জয়ী প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।