শিষ্যদের ওয়ালশের তাগিদ

নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে কিভাবে বোলিং করতে হবে সেটা শিখতে শিখতেই সফর শেষ হয়ে গেল। ভারতে তো ছিলই কেবল এক টেস্ট। শ্রীলঙ্কায় এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে এক টেস্ট, পরের ম্যাচে ভালো করতে শিষ্যদের দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন কোর্টনি ওয়ালশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2017, 02:14 PM
Updated : 13 March 2017, 03:57 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি পেসার বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তাদের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় না থাকলেও মাঠে ফল মিলছে কমই। তিনি কোচ হয়ে আসার পর ৬ টেস্টে পেসাররা মাত্র ২১ উইকেট পেয়েছেন। একই সময়ে ৬৬ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের পাশেই থাকছেন কোচ।

“ওদের কোনো একটা পর্যায়ে গিয়ে ম্যাচে ২০ উইকেট নেওয়া শিখতে হবে। আপনি যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন, আপনাকে ২০ উইকেট নিতে হবে। অনভিজ্ঞতার জন্য ওদের কঠোর পরিশ্রম দরকার হবে। যত বেশি খেলবে ওরা তত ভালো হবে। …এখন এখানে এসেছে, ওদের দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।”

গল টেস্টে খেলার আগে তাসকিন, মুস্তাফিজ ও শুভাশীষ রায় চৌধুরীর মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল কেবল ৬ টেস্টের। সাম্প্রতিক সময়ে পেসারদের অনভিজ্ঞতা নিয়েও ভুগতে হচ্ছে দলকে।

“আমি মনে করি, পেস বোলিংয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে অনভিজ্ঞতার ব্যাপারটাও বোঝা গেছে। ওদের সঙ্গে কাজ এগিয়ে চলছে। ওরা কঠিন পরিশ্রম করছে। আমার মনে হয়, অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে ওরা আরও ভালো করবে।”

ওয়ালশের বিশ্বাস, শততম টেস্ট ম্যাচে ছেলেরা এমনিতেই উজ্জ্বীবিত থাকবে। দলকে জয় এনে দিতে সম্ভাব্য সবকিছু করবে তারা। তবে কোচ হিসেবে জানিয়ে দিলেন, ওদের মাঠে কি করা উচিত।

“বোলিংয়ে আরও ধারাবাহিকতা, ধৈর্য ও নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আমার মনে হয়, শেষ ম্যাচে ওরা বুঝতে পেরেছে ওদের লম্বা সময় ধরে ভালো বল করে যেতে হবে। আমি আরও ভালো কিছু আশা করছি।”

৫১৯ টেস্ট উইকেট পাওয়া ওয়ালশের চোখে মুস্তাফিজ বিশেষ একজন বোলার। অন্য পেসারদের মধ্যেও স্কিল দেখছেন তিনি।