এক ম্যাচ আগেই করেছিলেন সেঞ্চুরি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যেটি ছিল তার অভিষেক। ১৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আরেকটি সেঞ্চুরি করলেন সোমবার। আগের সেঞ্চুরিতে আফিফ থেমেছিলেন ১০৫ রানেই, এবার ১৩৭।
আফিফের দিনে দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন তাসামুল হক। বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন শেষে দারুণ অবস্থানে তাদের দল। চট্টগ্রামে দক্ষিণাঞ্চলের ২৯৬ রানের জবাবে পূর্বাঞ্চল ২৯০ রান তুলেছে ৪ উইকেট হারিয়ে।
প্রায় দ্বিগুণ বয়সী ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন আফিফ। অভিজ্ঞ ইমতিয়াজ মাত্র ১৩ রান করে ফিরে যান দিনের শুরুতেই। এরপরই আফিফ ও তাসামুলের জুটি, আরেকটি উইকেটের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের অপেক্ষা যেন অনন্ত!
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট প্রথম দিনের চেয়ে খানিকটা সহজ হয়ে ওঠে এদিন। আফিফ-তাসামুলের কৃতিত্ব তাতে অবশ্য কমছে না। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণও তো দারুণ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ২২২ রানের জুটি।
১৭০ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন আফিফ। ১৩৭ রান করে তার বিদায়েই ভাঙে জুটি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কটবিহাইন্ড হয়েছেন নাজমুল অপুর বাঁহাতি স্পিনে।
নাজমুল অপুই শেষ বিকালে হতাশ করেন তাসামুলকে। দারুণ খেলেও মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান ২ রানের আক্ষেপে। ৯৮ রানের ইনিংসে দৌড়ে রানই নিয়েছেন বেশি, বাউন্ডারি মাত্র ৬টি।
তৃতীয় দিনে ইয়াসির আলিকে নিয়ে বড় লিড নেওয়ার পখে ছুটবেন অভিজ্ঞ অলক কাপালী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৯৬
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯৮ ওভারে ২৯০/৪ (ইমতিয়াজ ১৩, আফিফ ১৩৭, তাসামুল ৯৮, জকির ০, অলক ২৬*, ইয়াসির ০*; আল আমিন ১/৫৬, রাজ্জাক ০/৭৬, নাহিদুল ০/৩৬, জিয়াউর ০/২৫, নাজমুল অপু ২/৬৯, তুষার ০/১৮)।