মাইলফলক ছুঁতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। উইকেটে যাওয়ার খানিক পরই হয়ে যায় সেটি। পরে খেলেছেন ৮০ বলে ৮৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস।
মাত্র ২০৫ ইনিংসে ৯ হাজার স্পর্শ করলেন ডি ভিলিয়ার্স। ২২৮ ইনিংসে দ্রুততম ৯ হাজারের আগের রেকর্ড ছিল সৌরভের।
৬ হাজার ছুঁতে দুজনেরই লেগেছিল ১৪৭ ইনিংস। ৭ হাজারে সৌরভকে (১৭৪ ইনিংস) ছাড়িয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স (১৬৬)। ৮ হাজারে ছাড়িয়ে যান আরও অনেকটা। ২০০ ইনিংস লেগেছিল সৌরভের, ডি ভিলিয়ার্সের ১৮২। ৯ হাজারে সেই ব্যবধান বাড়ল আরও।
দ্রুততম ৬ হাজারের রেকর্ডে পরে ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে যান বিরাট কোহলি। আবার তাকে ছাড়িয়ে রেকর্ড এখন হাশিম আমলার। ৭ হাজারেও ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে গেছেন কোহলি। তবে ৮ হাজারের রেকর্ড এখনও ডি ভিলিয়ার্সের।
ইনিংসের মতো বলের হিসেবেও ৯ হাজারে দ্রুততম ডি ভিলিয়ার্স। ৯ হাজার ৫ বল লেগেছে তার ৯ হাজার ছুঁতে। আগে রেকর্ড ছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। লেগেছিল ৯ হাজার ৩২৮ বল।
রেকর্ডের শেষ নয় এখানেই। ৯ হাজার ছোঁয়ার সময় ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং গড় ছিল ৫৩.৮৯। অনায়াসেই যা ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ম্যাচ শেষে ডি ভিলিয়ার্সের গড় ৫৪.০৪। ৯ হাজারি ক্লাবের ১৮ সদস্যের মধ্যে কেবল মহেন্দ্র সিং ধোনির গড় ৫০.৯৬। বাকি সবারই ৪৫-এর নিচে!
অবশ্য ৯ হাজার তো অনেক বেশি, ওয়ানডে ইতিহাসে ২ হাজার রান করা ২০২ ব্যাটসম্যানের মধ্যেই সবচেয়ে ভালো গড় ডি ভিলিয়ার্সের।
ডি ভিলিয়ার্সের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৯ হাজার ছুঁতে পেরেছিলেন কেবল জ্যাক ক্যালিস। সাবেক অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৪২ ইনিংস।
৯ হাজার ছুঁতে ডি ভিলিয়ার্স করেছেন ২৪ সেঞ্চুরি। কেবল শচিন টেন্ডুলকারই পেরেছিলেন তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করতে, ২৫টি।
ছক্কার রেকর্ডে ডি ভিলিয়ার্স তৃতীয়। ৯ হাজার ছোঁয়ার ইনিংস শেষে ডি ভিলিয়ার্সের ছক্কা ১৮৯টি। এই সময় ক্রিস গেইলের ছক্কা ছিল ২২৯টি, ধোনির ১৯৬টি।
রেকর্ডের মালা গলায় তোলার দিনে জয়ের তৃপ্তিও পেয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। ১৫৯ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে দল। ম্যাচ সেরা হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের দিনটি পেয়েছে পূর্ণতা।