এই নিয়ে টানা ১২টি ওয়ানডে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্পর্শ করল ২০০৫ সালে নিজেদের টানা ১২ জয়ের রেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড অবশ্য এখনও বেশ দূরে। টানা ২১ ম্যাচ জিতে ২০০৩ সালে সেটি গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
নিউ জিল্যান্ড লড়ার মত রান তুলেছিল শেষের ঝড়ে। হারের শঙ্কা দূর করে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে গেল শেষ দিকে দুর্দান্ত এক জুটিতেই। হ্যামিল্টনে প্রথম ওয়ানডে ৪ উইকেটে জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রেখেই ব্যাটে-বলে আলাদা কলে নজর কেড়েছেন ফেলুকওয়েয়ো। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। পরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৩৭২ রান তাড়ায় ডেভিড মিলারের সঙ্গে অসাধারণ ম্যাচ জেতানো জুটিতে করেছিলেন ৩৯ বলে অপরাজিত ৪২। এবার নিউ জিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতেই আরেকটি ম্যাচ জেতানো জুটি।
বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে এসেছিল ৩৪ ওভারে। দুদলই একাদশ সাজায় দুজন করে স্পিনার নিয়ে। ম্যাচেও ছিল সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে বল ঘুরেছে উপমহাদেশের টার্নিং উইকেটের মতো।
নিউ জিল্যান্ডকে ভুগিয়েছে অবশ্য অতিথি পেসাররাই। টম ল্যাথামকে শুরুতেই ফেরান ক্রিস মরিস। দ্বিতীয় উইকেটে ডিন ব্রাউনলির সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন কেন উইলিয়মসন। এরপরই মিনি ধস। ১৩ রানের মধ্যে নেই ৩ উইকেট।
স্রোতের বিপরীতে দারুণ ব্যাট করতে থাকা অধিনায়ক উইলিয়ামসনও ফেরেন ৫৩ বলে ৫৯ রান করে। জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার রান পেয়েছেন কিছু। তবে নিউ জিল্যান্ড দুশ ছাড়াতে পারে মূলত শেষ তিন ওভারের ঝড়ে।
কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি মিলে শেষ ৩ ওভারে নেন ৪৯ রান! শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করা মরিসের শেষ ওভারে দুজন মিলে নেন ২৫ রান। ৩ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ করেন ডি গ্র্যান্ডহোম, ১৩ বলে ২৪ সাউদি।
২০৮ রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন হাশিম আমলা ও ডি কক। ১৫ ওভারে ৮৮ রানের জুটি ভাঙেন উইলিয়ামসন। মাঝে ছোট ধস প্রোটিয়া ইনিংসেও। ৯ রানের মধ্যে হারায় তারা ৪ উইকেট।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। টিম সাউদির ওয়াইড থেকে দুই রান আর ফেলুকওয়েয়োর ছক্কা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। এক বল আগে ডি ভিলিয়ার্সের চারে জয়ের দেখা। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে দুজনের জুটি ৪৩ বলে ৫৪ রানের।
দুটি করে চার ছয়ে ২৩ বলে ২৯ করে অপরাজিত ফেলুকওয়েয়ো। ডি ভিলিয়ার্স মাঠ ছেড়েছেন ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৭ করে।
পরের ম্যাচ বুধবার ক্রাইস্টচার্চে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড: ৩৪ ওভারে ২০৭/৭ (ব্রাউনলি ৩১, ল্যাথাম ০, উইলিয়ামসন ৫৯, টেলর ১, ব্রুম ২, নিশাম ২৯, স্যান্টনার ১৭, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৪*, সাউদি ২৪*; রাবাদা ২/৩১, মরিস ৪/৬২, ফেলুকওয়েয়ো ০/২৮, তাহির ০/৪২, শামসি ১/৩৯, দুমিনি ০/৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৩.৫ ওভারে ২১০/৬ (ডি কক ৬৯, আমলা ৩৫, দু প্লেসি ১৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৭*, দুমিনি ১, বেহারদিন ০, মরিস ১৬, ফেলুকওয়েয়ো ২৯*; স্যান্টনার ১/৩৩, বোল্ট ১/৪৫, সাউদি ২/৪৭, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২৭, সোধি ১/৩৬, উইলিয়ামসন ১/১৭)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক