জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের শেষ দিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে বরিশাল। শাহরিয়ার নাফীস ও সালমান হোসেনকে দুই অঙ্কেই যেতে দেননি পেসার হায়দার।
থিতু হওয়া শাহিন হোসেন ও ফজলে মামুদকে বিদায় করেন ইলিয়াস সানি। তবে আল আমিন জুনিয়র ও সোহাগ গাজী লক্ষ্য তাড়ার পথেই রাখেন দলকে। ৭৩ বলে ১০টি চারে ৬৯ রান করা আল আমিন জুনিয়রকে ফিরিয়ে ঢাকাকে স্বস্তিতে ফেরান হায়দার। কিছুক্ষণ পর রান আউট হয়ে যান সোহাগও।
দুই ইনিংসেই অর্ধশতক পাওয়া আল আমিন জুনিয়র জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
৫১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার হায়দার। বাঁহাতি স্পিনার সানি ২ উইকেট নেন ৫৩ রানে।
এর আগে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের এই ম্যাচে ৪ উইকেটে ১৩৮ রানে দিন শুরু করে ঢাকা।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মেহরাব হোসেন জুনিয়র ও মোহাম্মদ আশরাফুল ফিরেন দ্রুত। তবে সৈকত আলী ও ইলিয়াস সানি দলকে ২২৩ রান পর্যন্ত নিয়ে যান।
বরিশালের সোহাগ ও মনির হোসেন তিনটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ২৯২
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২৮০
ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: ৭০.১ ওভারে ২২৩ (মারুফ ১২, সাদমান ৬, শামসুর ৯, মার্শাল ৫৪, মেহরাব জুনিয়র ৩৯, আশরাফুল ২৪, সৈকত ৩৩, সানি ১৯, জাবিদ ৮, হায়দার ০, শহিদুল ৯; তৌহিদ ১/২৮, সালমান ১/৪৫, মনির ৩/৬৮, শাওন ১/২৪, সোহাগ ৩/৫৩)
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ১৭১/৬ (শাহরিয়ার ৪, শাহিন ২৭, মাহমুদ ৩১, সালমান ১, আল আমিন জুনিয়র ৬৯, সোহাগ ২৬, মনির ৫*, সায়েম ৪*; হায়দার ৩/৫১, শহিদুল ০/৪, আশরাফুল ০/৩২, সানি ২/৫৩, সৈকত ০/২৭)
ফল: ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আল আমিন জুনিয়র।