দুশ্চিন্তা কেটেছে সানির

অধিনায়ক নাঈম ইসলামের আগাধ আস্থা আছে আরাফাত সানির ওপর। তবে এই বাঁহাতি স্পিনার নিজেই ছিলেন দুশ্চিন্তায়, নতুন বোলিং অ্যাকশনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কার্যকর হবেন তো। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে দারুণ বোলিংয়ের পর সেই উদ্বেগ কেটেছে বাঁহাতি এই স্পিনারের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2016, 05:00 PM
Updated : 10 Nov 2016, 06:57 PM

বৃহস্পতিবার খুলনা টাইটানসকে ৪৪ রানে গুঁড়িয়ে দিতে শূন্য রানে ৩ উইকেট নেন সানি। ম্যাচ শেষে প্রথমবারের মতো মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে এসে আর দুর্ভাবনা না থাকার কথা জানান সানি।

রংপুর রাইডার্স ম্যাচ জেতার পার বরাবরের মতো সাংবাদিকরা মাঠে প্রেস বক্স থেকে নেমে মাঠে যেতে চাইলে কয়েক জন নিরাপত্তা কর্মী বাধা দেন। তারা জানান, বিসিবির নিরাপত্তা প্রধান মেজর হাসান ইমামের নির্দেশে আজ কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।

এই সময়ে রংপুর রাইডার্সের মিডিয়া ম্যানেজার এমএ বাকিকেও মাঠে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি দলের একজন প্রতিনিধিকে সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে আসার জন্য মাঠে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

ম্যাচ শেষে মাঠে যাওয়া বহু দিনের চর্চা। হঠাৎ এমন বাধায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেন। পরে প্রেস বক্সে সানিকে নিয়ে আসে বাকি। সেখানে নিজের খুশির কথা জানান সানি।

“শেষ দুইটা ম্যাচ বল করে নিজের কাছেই কমফোর্টেবল মনে হচ্ছে। দুশ্চিন্তায় ছিলাম যে অনেকদিন পর নতুন অ্যাকশনে বল করবো, তাও আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। কিন্তু দুইটা ম্যাচ তো বেশ ভালোই বল করলাম।”

“অমি সব সময়ই চেষ্টা করি, রান না দিতে। উইকেট হয়তো আমার দিক থেকে না পড়লেও অন্য দিক থেকে ঠিকই পড়বে। কিন্তু আমার ফোকাস থাকে যে, যত কম রান দেয়া যায়।”

সানি মনে করেন স্কোর বোর্ড দেখে যতটা মনে হচ্ছে ততটা ভয়ঙ্কর বোলিং তারা করেননি।

“সত্যি বলতে কী, ওরাই ভুল করেছে। আমাদের বোলারদের পরিকল্পনা ছিল যে, আমরা সঠিক জায়গায় বল করবো। ওরা বাজে শট খেলে আউট হয়েছে। বল স্কিড করলেও দুই-একটা ছাড়া খুব বেশি টার্নও করেনি। বল নীচু হচ্ছিল খুব, সেটাও বলবো না। দুই-একটা বল আমাদের এই উইকেটে সবসময়ই নীচু হয়। আমার মনে হয়, ওরাই ভুল করেছে।”