২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১০০ রান। সেখান থেকে ৬৪ রানের মধ্যে অতিথিদের ১০ উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। তবে এখনও টেস্টে জয়-পরাজয় ব্যক্তিগতভাবে খুব বড় ব্যাপার নয় মুশফিকের কাছে। তার সম্পূর্ণ মনোযোগ সঠিক প্রক্রিয়ায় এগোনোর দিকে।
“শেষ দুটি ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে ইংল্যান্ড শুধু না যে কোনো দলের বিপক্ষেই জেতা সম্ভব হবে। আপনি যে দলের বিপক্ষেই খেলবেন, ধারাবাহিকভাবে পাঁচ দিন আপনাকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার মনে হয়, এটা শুরু হয়েছে টেস্টে।”
“এ জয়টা খুব দরকার ছিল। কারণ, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল বিশ্বাস করে যে কোনো জায়গায় থেকে যে কোনো দলকে তারা হারাতে পারবে। এখন আমি বিশ্বাস করি, টেস্টেও আমরা ধীরে ধীরে সে জায়গার দিকে যাচ্ছি। সেই বিশ্বাসটা আমাদের আছে, যে কোনো বিপর্যয়ের পরও আমরা অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।”
ভগ্ন-শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বাইরে এই প্রথম কোনো দলকে হারাল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মনে করেন, এটা কেবলই শুরু।
“বড় দলের বিপক্ষে এমনও সুযোগ আসবে যেখানে আমরা ২-০ তে সিরিজ জিততে পারি। ভালো লাগছে এই জন্য যে, শুধু সিনিয়র ক্রিকেটাররা না জুনিয়র ক্রিকেটাররাও দলের জন্য অবদান রাখছে।”
“আমাদের দলে পারফরমারের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। নতুন কেউ এসে দলের জন্য অবদান রাখছে, এটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটি দিক।”
টেস্টে টানা দুই ম্যাচে ভালো খেলার নজির বাংলাদেশের বিরল। এবার একটিতে লড়াই করে হার, অন্যটিতে ১০৮ রানের জয় - অধিনায়ক মনে করেন, এই পারফরম্যান্স ধরে রাখাই সামনের দিনে তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।