ওয়ানডের বাংলাদেশ যতটা উজ্জ্বল, ততটাই বিবর্ণ ছিল টেস্টের বাংলাদেশ। সেই দলই সাড়ে ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে একটিতে গিয়েছে জয়ের কাছে, আরেকটিতে জিতেই গেল! অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দাবি, সাফল্যটি হঠাৎ পাওয়া নয়; বরং পরিকল্পনা ও সাহসের ফসল।
Published : 30 Oct 2016, 09:15 PM
দেশের মাটিতে বরাবরই নিষ্প্রাণ উইকেট বানিয়ে ড্র করা বা পাঁচ দিন খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে এবার ছিল ব্যতিক্রম। জয়ের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিল বাংলাদেশ। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল টার্নিং উইকেটে ইংল্যান্ডের পরীক্ষা নেওয়ার। তাতে বাংলাদেশের হারের শঙ্কাও ছিল। তবে ছিল জয়ের আশাও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানালেন, সেই পরিকল্পনাই ফল দিয়েছে।
“সত্যি বলতে আমাদের পরিকল্পনাই ছিল এমন। যখন আমরা জেনেছি ইংল্যান্ড আসবে, তখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যে এমন উইকেট বানাবো, যেন সেটা তিন-চার দিনের উইকেট হয়। যে উইকেটে আমাদের স্পিনাররা অনেক সহায়তা পাবে এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের অনেক সমস্যা হবে।”
“চট্টগ্রাম টেস্টে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা বাস্তবায়ন করেছে আমাদের বোলাররা এবং আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো খেলেছে।”
পছন্দমতো উইকেট পাওয়ার পর বোলারদের চ্যালেঞ্জ ছিল সেটি কাজে লাগানোর। মুশফিক কৃতিত্ব দিলেন তার বোলারদের।
“কৃতিত্ব মিরাজ, সাকিব, তাইজুলের। স্পিনারদেরই বেশি কৃতিত্ব পাওয়া উচিত। কারণ, বল করলেই উইকেট পাবে এমন কিন্তু নয়। এখানে অনেক সময় রানও খুব সহজে হয়েছে। এই টেস্টে ওভার প্রতি প্রায় সাড়ে চার করে রান হয়েছে। সেদিক থেকে বলবো, বোলারদের অনেক বড় কৃতিত্ব। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মতো তাদেরও এটা শেখার ব্যাপার ছিল যে, এই উইকেটে কিভাবে বল করতে হয়। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন উইকেট আরও দেখবেন যেখানে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করব।”
এই চ্যালেঞ্জে ঝুঁকি ছিল। হারলে হয়ত ছুটে আসত সমালোচনার তীর। জয়ের পর তাই অধিনায়কের কণ্ঠে তৃপ্তি।
“অবশ্যই ভালো লাগছে। অনেক সাধনার পর কোনো একটা জিনিস পাওয়া গেলে অবশ্যই ভালো লাগে। তবে আমি বলব, এটা পূর্বপরিকল্পিতই ছিল যে আমরা অবস্থা তৈরি করব।”