রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন ওয়ালশ। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, তার দৃষ্টি থাকবে ধারাবাহিকতা আর পরিশ্রমে।
“আমি বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণ বোলারকে নিয়ে আশাবাদী। তারা যথেস্ট উন্নতি করেছে এবং আমি তাদেরকে আরেকটু সাহায্য করতে চাই...এইটাই হলো মূল বিষয়। আমি ধারাবাহিকতার উপর বেশি জোর দিতে চাই।”
সবার আগে নতুন শিষ্যদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে চিনে নিতে চান ওয়ালশ। পরিকল্পনা এরই মধ্যে সাজিয়ে ফেলেছেন প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক দলের কোচ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই পেসার।
“আমি প্রথমে সবার সাথে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যত বেশি সম্ভব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। কারো নাম বলার ক্ষেত্রে আমি আসলে খুব একটা পারদর্শী নই। অনেক সময় দেখা গেছে, আমি হয়তো কারো নাম বললাম, সে এরপর টানা দুই-তিনটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারলো না।”
“তারা কিভাবে উন্নতি করতে চায়, তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি- এসব বিষয় জেনে আমি তাদের সাথে আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করব। আমরা নানা ধরনের অনুশীলন পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারি। তবে, দল কীভাবে উপকৃত হচ্ছে সেটাই হল মূল বিষয়।”
১৩২ টেস্টে সব মিলিয়ে করেছেন ৩০ হাজার ১৯ বল, ৪২৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সংখ্যাটা অবিশ্বাস্য ৮৫ হাজার ৪৪৩। তার কাছ থেকে ফিটনেসের ব্যাপারে জানতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশের পেসাররা। নতুন শিষ্যদের জানাতে উন্মুখ ওয়ালশও।
“একটা কথা আমি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বলতে চাই যে, শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ধারাবাহিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে পারলে আমরা সঠিক পথে এগুতে পারব। তবে, এটা রাতারাতি হবে না... আগে আমাদের বেশ কিছু প্রাথমিক কাজ করতে হবে।”
ওয়ালশের বিশ্বাস, মৌলিক বিষয়গুলো ঠিকভাবে করতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ব্যাপক উন্নতি ও ধারাবাহিকতা দেখা যাবে।