আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেই একের পর এক চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্মের পর মুস্তাফিজের দিকে দৃষ্টি পড়ে টি-টোয়েন্টি লিগ গুলোর। পিএসএলে তাকে নেওয়া হলেও যেতে পারেননি চোটের কারণে। আইপিএলে গিয়ে প্রথমবারই বড় ভুমিকা রেখেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে। এরপর সাসেক্সে খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই নায়ক। এরপর তো বাধালেন চোট।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সামনে বিগ ব্যাশ, সিপিএল বা অন্য দেশগুলোর টি-টোয়েন্টি লিগেও চাহিদা থাকবে মুস্তাফিজের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তার শরীর সেই ভার নিতে কতটা প্রস্তত। বয়স মাত্র ২০, শরীর খুব সুগঠিত নয়। কাধের এখনকার চোট তার পুরোনো। গত কয়েক মাসে ঘুরেফিরে এসেছে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি, সাইড স্ট্রেইন, পিঠের ব্যথা।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর বিশাল অঙ্কের অর্থের হাতছানি উপেক্ষা করাও কঠিন। এখানেই ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে বোর্ডের। কোন লিগে মুস্তাফিজের খেলা উচিত, কখন বিশ্রাম, সেটি বিসিবিই ঠিক করে দিতে পারে।
শনিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যরে মুখোমুখি হয়ে জালাল ইউনুস জানালেন, বোর্ডও সেভাবেই ভাবছে।
“মুস্তাফিজকে কিন্তু আমরা পিএসএলে পাঠাইনি। ইনজুরিতে ছিল। ক্যারিবিয়ান লিগে প্রস্তাব ছিল, তাকে পাঠাইনি। তার যখনই কোনো সমস্যা হচ্ছে তখনই কিন্তু যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এজন্য সব জায়গায় খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনোরকম বাড়তি চাপ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না।”
চোটের ছোবলে প্রতিশ্রুতিশীল পেস বোলারদের হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন নয়। ক্যারিয়ারের শুরুতে চাপ ঠিক ভাবে সামলাতে না পারায় মোহাম্মদ শরিফ, তালহা জুবায়েরদের মতো সম্ভাবনাময় পেসারদের কাছ থেকে সেরাটা পায়নি বাংলাদেশ।
তবে সেসব দিন এখন অতীত। জালাল ইউনৃস জানালেন, মুস্তাফিজকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেবে না বোর্ড।
“মুস্তাফিজের উপর আমাদের ফিজিও, ডাক্তারদের ফোকাস সবচেয়ে বেশি। সে সামান্য ব্যাথা অনুভব করলেও সাথে সাথে যে কোনো টুর্নামেন্ট, সিরিজ থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। যখনই কিছু বলেছে, সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
“ওর সামনে লম্বা ক্যারিয়ার। এখন যে ইনজুরি, সেটা কিন্তু কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্টে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা প্রবলেম তৈরি করতে পারে। সেটা যেন না হয়, সেজন্য সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে কোন ঝুঁকি নিচ্ছি না আমরা।”