‘টার্নিং পয়েন্ট’ মাশরাফির ওভার

নেদারল্যান্ডস অধিনয়িক পিটার বোরেনের মতে, মাশরাফি বিন মুর্তজার করা ইনিংসের ১৭তম ওভারটিই ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট।’ বাংলাদেশের অধিনায়ক বলছেন, অনেক ভেবে চিন্তেই তিনি বল হাতে নিয়েছিলেন ওই ওভারে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকধর্মশালা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2016, 05:30 PM
Updated : 9 March 2016, 05:50 PM

জয়ের জন্য ডাচদের প্রয়োজন তখন ৪ ওভারে ৪২ রান। এই সময়ে নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে অসাধারণ বোলিং করেছেন মাশরাফি। দারুণ লাইন-লেংথ ও বুদ্ধিমত্তায় বোলিং করে ওই ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৩; আউট করেছেন বিপজ্জনক রোয়েলফ ফন ডার মারউইকে। রান তাড়ার লড়াই থেকে ডাচদের ছিটকে দিয়েছে মূলত ওই ওভারটিই। শেষ পর্যন্ত ৮ রানের জয়ে আরও বোঝা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই ওভার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডাচ অধিনায়ক বললেন, মাশরাফির ওভারটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।

“সেটিই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওই মুহূর্তে ওভারপ্রতি ১১ করে দরকার ছিল, অসম্ভব কিছু ছিল না। সেখানে মুর্তজা এসে ২-৩ রান দিল আর রোয়েলফকে ফেরাল। পুরো ম্যাচেই আসলে দারুণ বোলিং করেছে মুর্তজা। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়েছে, ১৫৪ রান তাড়ায় যেটি অসাধারণ বোলিং।”

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানালেন, তিনিও জানতেন যে ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ওভারটি হতে যাচ্ছে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।

“৪ ওভারে ৪২ লাগবে যখন, মনে হচ্ছিল, এই ওভারটা গুরুত্বপূর্ণ খুব হবে। এই ওভারে ৬-৭ এমনকি ৮ রান দিলেও সেটি ভালো কিছু হবে। আমরা চেয়েছিলাম শেষ ওভারে যেন ১৫ থেকে ২০ রানের মধ্যে থাকে। সেই পরিকল্পনা আমাদের সফল হয়েছে।”

ওই সময়ে অন্য কাউকে বোলিং দেওয়ার ভাবনাও এসেছিল অধিনায়কের মাথায়। তবে জানালেন, ভেবে চিন্তেই নিজে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

“একবার ভেবেছিলাম যে আল আমিন বা সানিকে দেব কিনা। পরে ভেবেছি আমারই করা উচিত। কারণ আমি উইকেট পড়তে পারছিলাম ভালো। ব্যাটসম্যানকে ভালো পড়তে পারছিলাম। এজন্য মনে হচ্ছিলো, আমি করলেই ভালো হয়।”

এক সময় দলের মূল স্ট্রাইক বোলার ছিলেন মাশরাফি। সময়ের বাস্তবতায় এখন তিনি আগে নেতা, বোলার হিসেবে মূলত তরুণদের সঙ্গ দেওয়ার ভূমিকায়। তবে প্রয়োজনের সময় যে ঠিকই জ্বলে উঠতে পারেন, সেই আত্মবিশ্বাস বরাবরই ছিল মাশরাফির।

“আসলে এখনও বিশ্বাস আছে যে দলের প্রয়োজন হলে আরও ভালো ওভার করতে পারব। সামনে কখন কি আসে, কেউ জানে না। তবে এরকম বোলিং এরকম পরিস্থিতিতে করতে পারলে ভালো লাগে, আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। সামনে আরও খেলা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। আমি আত্মবিশ্বাসী।”