৭০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে অ্যান্ডারসন বললেন, ‘উদযাপনের কিছু নেই’

দল হেরেছে বলে নিজের এই অর্জন খুব একটা স্পর্শ করছে না টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসারকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2024, 06:10 PM
Updated : 12 March 2024, 06:10 PM

অনেক আগে থেকেই টেস্ট ক্রিকেটের সফলতম পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসেবে সম্প্রতি তিনি ছুঁয়েছেন ৭০০ উইকেটের মাইলফলক। তবে ব্যক্তিগত এই অর্জন খুব একটা স্পর্শ করছে না ৪১ বছর বয়সী ইংলিশ তারকাকে। কারণ, দলের পরাজয় যে তিনি ঠেকাতে পারেননি!

ভারতের বিপক্ষে ধারামশালা টেস্টের তৃতীয় দিন গত শনিবার কুলদিপ ইয়াদাভকে ফিরিয়ে ৭০০ উইকেটের ঠিকানায় পৌঁছান অ্যান্ডারসন। ছেলের অর্জন গ্যালারিতে বসে দেখেন তার বাবা-মা। এই সংস্করণে তার আগে সাতশর ছোঁয়া পাওয়া দুজন বোলারই স্পিনার- শ্রীলঙ্কার মুত্তাইয়া মুরালিদারান (৮০০) ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।

বিবিসির ‘টেলএন্ডার’ পডকাস্টে আলাপচারিতায় মঙ্গলবার অ্যান্ডারসন বললেন, মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন তার বাবা।

“সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল এবং ছবির মতো সুন্দর একটি মাঠে এটি করতে পারা দারুণ ব্যাপার। আমার বাবাও এখানে ছিলেন, আমরা একসঙ্গে পান করেছিলাম, দারুণ ছিল। তিনি আমার চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত ছিলেন।”

“যদি আমরা ম্যাচটি বা সিরিজ জিততাম, তাহলে হয়তো আমি আরও রোমাঞ্চিত বোধ করতাম। দীর্ঘ একটা সিরিজ ছিল, বুঝতে পারছি না আমি কেমন অনুভব করেছি।”

ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। টানা চার ম্যাচ হেরে পাঁচ টেস্টের সিরিজ তারা হারে ৪-১ ব্যবধানে।

২০১৫ সালে ইয়ান বোথামকে ছাড়িয়ে টেস্টে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার পর থেকে একের এক অর্জনে নাম লিখিয়ে চলেছেন অ্যান্ডারসন। ২০১৮ সালে ওভাল টেস্টে ভারতের মোহাম্মদ শামিকে ফিরিয়ে গ্লেন ম্যাকগ্রার ৫৬৩ উইকেট টপকে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার হয়ে যান তিনি। সাউথ্যাম্পটনে ২০২০ সালে পাকিস্তানের আজহার আলিকে আউট করে প্রথম পেসার হিসেবে প্রবেশ করেন ৬০০ উইকেটের ক্লাবে।

টেস্ট ক্রিকেটের ধরন যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে আরেকজন পেসারের অ্যান্ডারসনের ৭০০ উইকেটের ঠিকানায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। তবে অ্যান্ডারসনের কাছে খেলাধুলার ইতিহাসে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা ঠিক ভালো লাগে না।

“আমি মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমি ম্যাচ জিততে চাই।”

ইংল্যান্ডের পরের টেস্ট সিরিজ আগামী জুলাইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অ্যান্ডারসনের ৪২তম জন্মদিনের সপ্তাহ খানেক আগে শুরু হবে এই সিরিজ। ভারত সফরে চার টেস্টে ৩৩.৫০ গড়ে ১০ উইকেট নেওয়া এই বোলার ক্যারিবিয়ান সিরিজ নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছেন।

“আমি গ্রীষ্মের জন্য সত্যিই রোমাঞ্চিত। ভালো খেলা এবং দলে জায়গা পাওয়ার বিষয়টি আমি নিশ্চিত করতে চাই।"

"আমি খারাপ করছি না। অবশ্যই আমি সেরা ফর্মে আছি। আমার খেলা যে অবস্থায় আছে, আমি তাতে খুশি এবং আমি এখনও প্রতিটি দিন উপভোগের এবং নেটে আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করি। দলে আমার জায়গা নিশ্চিত নয়, তাই গ্রীষ্মে দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”

অ্যান্ডারসনের ৬৯৯তম শিকার ছিলেন শুবমান গিল। সেদিন কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন দুজন। অ্যান্ডারসন জানালেন, কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে।

"‘তুমি কি ভারতের বাইরে রান পাও?’ আমি তাকে এমন কিছু বলেছিলাম এবং সে আমাকে বলেছিল, ‘(তোমার) অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে।’ এর দুই বল পরই আমি তাকে আউট করি।”