বাংলাদেশ ক্রিকেট
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিজের চাওয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ‘এ’ দলের অধিনায়ক এনামুল হক।
Published : 08 Aug 2024, 05:54 PM
কয়েকদিনের অস্থির ও অনিশ্চিত সময় পেরিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে দেশের ক্রিকেট। পরিবর্তিত সূচিতে পাকিস্তান সফরের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার দুটি চার দিনের ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বেন এনামুল হক, মোসাদ্দেক হোসেনরা।
সে লক্ষ্যে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুশীলন করেছেন ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিজের চাওয়া নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন চার দিনের ম্যাচে ‘এ’ দলের অধিনায়ক এনামুল।
ক্রিকেট নিয়ে কাজ করলেও দেশের পরিস্থিতির বাইরে আমরা যেতে পারি না। অনেক কিছু হয়ে গেছে। এর মধ্যে ইতিবাচক বিষয়ও আছে। যেমন শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের নিয়েছে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছে। এই বিষয়গুলো আপনি কীভাবে দেখেন?
এনামুল: আমরা বাইরে বের হচ্ছি বিভিন্ন কাজে। মাঠে আসছি অনুশীলনের জন্য, আবার শেষ করে বাইরে যাচ্ছি। তখন দেখছি তাদের কার্যকলাপ। অসাধারণভাবে কাজ করছে। তারা চেষ্টা করছে ট্রাফিকটা যত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সবাই যেন শৃঙ্খলায় চলে। আসলে এরকম দেশই তো আমরা আশা করি। সব কিছু যথাযথভাবে থাকবে। সাধারণ জনগন এটাই চায়।
দেশের এমন একটা পরিবর্তন সবাইকেই কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করছে। সরকারের পরিবর্তন, ছাত্রদের যে আন্দোলন, তাতে আমরা বিশ্বাস করতে পারি সবকিছুতে একটা ভালো দিক আসবে। ক্রিকেটে আপনি কী ধরনের সংস্কার বা ভালো আশা করেন?
এনামুল: ক্রিকেটে তো আমাদের বড় পরিসরে পরিবর্তনের সুযোগ আছে। আস্তে আস্তে সেটা আমরা দেখেছি। আশা করি, সামনেও হবে। কোনো কিছু দুই দিনে, পাঁচ দিনে সম্ভব না। এটা পর্যায়ক্রমে হওয়া সম্ভব। তবে আমরা সবাই আশা করি, প্রতিটা মানুষ। আমরা আগে সাধারণ মানুষ, পরে ক্রিকেটার বা অন্য যে পেশায়ই থাকি না কেন। আমাদের অবশ্যই অধিকার আছে, যেগুলো আমাদের প্রাপ্য। আমরা সবাই চাইব, সুশৃঙ্খলভাবে সব কিছু এগিয়ে যাক, ক্রিকেট বোর্ডেও, সব জায়গাতে। যেন প্রতিটা জায়গায় আমরা দারুণভাবে সুবিধা পাই। যেন সবাই মিলে আমরা এগোতে পারি।
আপনি কি বিসিবির সবকিছুতে সামনে আরও ন্যাপরায়ণতা আশা করবেন? দল নির্বাচন যা যে কোনো কিছুতে?
এনামুল: আসলে ‘ক্রিস্টাল ক্লিয়ার’ থাকাটা জরুরি। সবার ক্ষেত্রে। আমি কেন দলে আছি, কেন বাদ পড়ছি, কোথায় খেলছি বা কী খেলছি না খেলছি, আমার সুবিধাদি কতটুক হচ্ছে বা কতটুকু পাচ্ছি। এই জিনিসগুলো অবশ্যই প্রশ্নবোধক থাকে। যেগুলো আমরা সবাই চাই, প্রশ্নটা সরে যাক। উত্তরটা আমাদের প্রাপ্য। আমি মনে করি, ক্রিকেট বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। ভবিষ্যতেও ইনশাআল্লাহ্ যারাই দায়িত্বে আসবেন, তারাও সহযোগিতা করবেন। তবে একটা জায়গাতে গ্যাপ থেকে যায়, সেই গ্যাপগুলো পূরণ করে সামনের দিকে আমরা এগিয়ে যাব, এটা আমরা সবাই আশা করব।
অনেক দিন ধরেই আপনি খেলছেন। আপনি যদি বলতেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন জায়গায় পরিবর্তন করা উচিত? আর প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়ে অনেক কথা আছে। তাকে নিয়ে আপনার কোনো কথা আছে কিনা, যা বলতে চান বা বলতে পারেননি।
এনামুল: আসলে বলতে চাইনি বা পারিনি, এরকম না।
সামনে আমরা কতটুকু পাব বা আগে কতটুকু পেয়েছি, এসব নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে বর্তমান নিয়ে থাকাটা জরুরি। ক্রিকেট শুধু একক কোনো ক্রিকেটারের কথা দিয়ে পরিচালিত হয় না। এখানে আপনারা থাকবেন, সিনিয়র মানুষরা থাকবে, নিচের মানুষ থাকবে। আমি মনে করি, ক্রিকেটটাকে উন্নতি করতে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করতে হয়। সেটার ফল আমরা পাই।
আমার মনে হয়, তৃণমূল পর্যায়টা মজবুত করা জরুরি। সেটা দল নির্বাচন হতে পারে, উইকেট হতে পারে, আর্থিক হতে পারে, অনুপ্রেরণা হতে পারে, চিকিৎসা হতে পারে, সুবিধাদি হতে পারে। আমাকে যদি বলেন, আমি মনে করি, তৃণমূল থেকে দারুণ গোছালো ক্রিকেট হওয়া জরুরি।
ঢাকাকেন্দ্রিক, মিরপুরকেন্দ্রিক ক্রিকেট আসলে আমরা খেলি। এই ইনডোর, এই আউটডোর... আমার মনে হয়, প্রতিটা জেলায় জেলায় এই সুবিধাদি তৈরি করা, জেলায় জেলায় যে আমরা আগে ক্রিকেটকে পছন্দ করে, ভালোবেসে ক্রিকেট খেলেছি, সেটাতে আসলে চলে যাওয়াটা জরুরি। তাহলে ভালোবাসা থেকে ক্রিকেটটা শুরু হবে। যেটা আসলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে।
আমি মনে করি না যে, বর্তমান জাতীয় দলের এটা লাগবে, ওটা লাগবে। আমার মনে হয়, তৃণমূলটা খুব জরুরি। যারা প্রথম থেকে শুরু করছে। অনূর্ধ্ব-১৩, ১৪ বা ১০... যারা খেলতে চাচ্ছে। মাশরাফি (বিন মুর্তজা), সাকিব (আল হাসান), তামিম (ইকবাল), (মাহমুদল্লাহ) রিয়াদ, মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) ভাইকে দেখে যারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। তাদেরটা মজবুত করা অনেক জরুরি।
অনেক জায়গায় মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে। আপনাদের অনেকে আদর্শ হিসেবে মানে। এই ধরনের আক্রমণ বন্ধে আপনি কোনো বার্তা দেবেন কিনা?
এনামুল: আপনারা জানেন, আমার খুব কাছের এক ভাই, ৩-৪ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, ও মারা গিয়েছে এই ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে। তার কথা চিন্তা করলেও কিন্তু আমি প্রচণ্ড ইমোশনাল হয়ে যাই। এমন ট্র্যাজেডি, এমন ট্রমা কারও জীবনে না আসুক। আমি চট্টগ্রামে ছিলাম, বাসায় আসতে পারিনি। আমার বাচ্চা, স্ত্রী বাসায় ছিল। তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি।
এরকম ট্র্যাজেডি আমাদের সবার মধ্যেই আছে। কারও কাছের বড় ভাই, আত্মীয় বা সহকর্মী মারা গিয়েছে। তো আমাদের এরকম কেউই চাই না। কেউই চাই না, আমরা এরকম দিন পার করি। কালকেও আমি রাত দুইটার সময় ঘুম থেকে উঠেছি। প্রায় ৫টা পর্যন্ত পরিবার নিয়ে জেগে ছিলাম। বাচ্চাকে রেখেছি। নিচে গিয়েছি। সবাই দেখি নিচে নেমে এসেছে।
অবশ্যই এরকম দিন আমরা আশা করি না। শান্তিতে একটা দেশ পরিচালনা হোক, সবাই সবার মৌলিক অধিকারগুলো পাক। সব দিক থেকে, আপনারা মিডিয়ার দিক থেকে, আমরা ক্রিকেটের দিক থেকে, সবাই যে যার জায়গা থেকে সৎভাবে কাজ করি। এটাই আমরা আশা করব। অবশ্যই যারা এর মধ্যে জড়িত, তারা আসলে কী চাচ্ছে, আমরা জানি না। তাদের মনে কী চলছে জানি না। আমাদের মনে চলছে, শান্তিপূর্ণ একটা দেশ চাই, সৎ একটা দেশ চাই। যে যার জায়গা থেকে শতভাগ পাচ্ছে।
সাকিব আল হাসান কয়েক দিন আগেও রাজনীতিবিদ ছিলেন। এখনও আছেন। তবে আওয়ামী লীগের সংসদ আর নন তিনি। আপনার কি মনে হয়, তার এখন শতভাগ খেলায় মনোযোগ দেওয়া উচিত?
এনামুল: আমরা একেক ব্যক্তিকে দেখে এসেছি এবং সবার আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকে। তাদের মাথা থেকে সেটা আসে। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, এটার উত্তর আরেকজন আরেকভাবে দেবে, আমি একভাবে দেব। উনি কী চাচ্ছেন, কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, কীভাবে খেলা চালাবেন, কীভাবে রাজনীতি চালাবেন, এটা একদমই ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা যখন তাকে মাঠে পাব, আমরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে চাই। আমি মনে করি, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যখন ক্রিকেটে আসবে, ক্রিকেটার বড় ভাই হিসেবে তাকে চোখের সামনে দেখতে চাই।
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন আপনারা। সেখানে আপনাদের ব্যক্তিগত অর্জন বা কোনো জয় দেশের মানুষের জন্য একটু শান্তির হতে পারে কিনা?
এনামুল: একটা মিটিং হয়েছিল, আমি এই কথাটাই বলেছি। প্রথমে হলো বাংলাদেশের একটা আবেগের জায়গা ক্রিকেট, বাংলাদেশের খেলাধুলা। এরপর আমরা বিনোদিত করি। সবাইকে এক করি। তো আমাদের একটা জয়, আমাদের একটা ভালো ইনিংস, দুর্দান্ত কিছু দৃশ্য যদি মানুষ দেখে, তাদের একটা শান্তি আসবে। তাদের এক হওয়ার সুযোগ হবে। আমার মনে হয়, এটা একটা প্রেরণা সবার জন্য। এরকম একটা ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেটাররা যদি দারুণ কিছু খবর দিতে পারে, অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের একটা শান্তির জায়গা তৈরি হবে।
সাধারণ মানুষ যখন আন্দোলন করেছে, আপনারা অনেক ক্রিকেটার এর পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা কোনো কিছু বলেননি। আপনারা যারা অন্যান্য ক্রিকেটাররা আছেন। তারা এই ছাত্র আন্দোলনের পর মাশরাফি, সাকিবের এই বিষয়টা কীভাবে নিচ্ছেন?
এনামুল: এটা একেকজনের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কথা বলা বলেন, স্ট্যাটাস দেওয়া বলেন। যেমন আমি ট্রমাটিক একটা জীবন পার করেছি। তাদের পরিবারকে নিয়ে, আমার পরিবারকে নিয়ে, আমার কাছের একটা ভাই। আমার আসলে ওকে নিয়েই দিন পার হয়েছে, ওকে চিন্তা করেই দিন পার হয়েছে। আমি আসতে পারিনি পরিবারে, ওদের বাসায়ও দেখার সুযোগ হচ্ছিল না।
আমার এরকম একটা জীবন গেছে। এজন্য আমি ওকে নিয়ে পোস্ট করেছি। আমি চাইনি এরকম একটা অশান্তি হোক। তবে আরেকজন হয়তো অন্যভাবে চিন্তা করেছে। যেটা হয়তো আমি করব না। আমাদের সবার যখন কথা হয়, একই কথা হয় তার ব্যক্তিগত জীবন, সে কী করবে না করবে, সে ভালো বলতে পারবে। আসলে উনি যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটা করেছেন।
ইমরুল কায়েস সামাজিক মাধ্যমে বৈষম্যের বিষয় নিয়ে কথা লিখেছেন। আপনিও কি কখনও এই ধরনের বৈষম্য মোকাবিলা করেছেন?
এনামুল: এটা তো হতেই থাকবে। আপনিও বলতে পারবেন না, আপনার সঙ্গে হয়নি। তবে এটা যত কম হওয়াটা... সামনে যেন কম হয়, আমরা এটা সবাই আশা করব। আর যখন দায়িত্ব নেওয়ার সময় আসবে, যার দায়িত্ব যেটা সে যদি পালন করতে পারে। যার মতামত দেওয়ার সুযোগ আসবে, সে যদি... যেমন আজকে আমার সুযোগ এসেছে এখানে আপনাদের সঙ্গে কথা বলার, যদি আমি দুইটা কথার মাধ্যমে ইম্প্রুভ করতে পারি, তাহলে আমি করব। এরকম যাদের যাদের সুযোগ আসবে, আমি মনে করি তাদের সেই সৎ মতামত দেওয়া জরুরি।
আমি যখন দেখেছি, আপনাদের (ক্রিকেট সাংবাদিকদের ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানানোর) ভিডিও, এটা আমাকেও অনুপ্রাণিত করেছে। আপনারা সবাই যারা জিনিসটা করেছেন, একসাথে হয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন, এটা দেখেও আমার ভালো লেগেছে। আমি অপেক্ষা করছিলাম, আপনারা কখনও হয়তো কথা বলবেন। আপনাদের দেখার পর নিজেও অনুপ্রেরণা অনুভব করেছি। আপনাদেরকে আমার কাছের মানুষ মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেটাররা কতটুকু স্বাধীনতা উপভোগ করতে পেরেছে? আর সামনে কেমন বিসিবি দেখতে চান?
এনামুল: আমার মনে হয়, এটা একটা বড় আলোচনা হওয়া জরুরি। দুই-একজনের কথায় আমিও পরিবর্তন চাই না। আমার ব্যক্তিগত কথা যদি বলেন, আমি বলব একটা বড় ধরনের গ্রুপ মিলে, যেটা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি, কেউ ক্রিকেট খেলেছে, কেউ খেলবে। আমার মনে হয়, বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যেখানে যেটা হচ্ছে। আমি জানব না, দ্বিতীয় বিভাগে কী হচ্ছে। আমি প্রিমিয়ার লিগটা জানি। আমি কিন্তু ফুটবলের ব্যাপারটা জানি না বা অনূর্ধ্ব-১৩তে কী হচ্ছে জানি না। আমি মনে করি, ছোট থেকে বড় সবারই একটা দারুণ আলোচনা সম্ভব। যেখানে আমরা তুলে ধরতে পারব যে আমাদের এটা এটা প্রয়োজন। তবে এখন এমন একটা সময় যে, আমি এখনই বলে ফেললাম, এতে পরিবর্তন কতটা আসবে আমি জানি না। তবে এটা আমার মনে হয় বড় একটা আলোচনা দরকার।
আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত যে অর্জন, আমরা একটা ট্রফি দিতে চাই মানুষকে। আমরা একটা এশিয়া কাপের ট্রফি দিতে চাই, বিশ্বকাপের ট্রফি দিতে চাই। আমরা দারুণ কিছু টুর্নামেন্টের ট্রফি দিতে চাই। আমরা স্বচ্ছ ক্রিকেট চাই। জিনিসগুলো কিন্তু মানুষ আশা করে বসে আছে। যেটা আমরা এখনও দিতে পারিনি। যেটা আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল দিয়েছে বা মেয়ে ক্রিকেটাররা দিয়েছে। সেই জিনিসটা কিন্তু বড় পর্যায়ে আমরা দিতে পারিনি। এই জিনিসটা আমরা উপলব্ধি করি যে আমাদের একটা বড় অর্জন দেওয়া জরুরি। এই স্বাধীন দেশের জন্য। যেটা আমরা চেষ্টা করব।