পান্তের মুখের হাসিতে পন্টিংয়ের হৃদয় খুশি

বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক রিশাভ পান্তকে ফিরে পেয়ে রোমাঞ্চিত দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2024, 06:54 AM
Updated : 16 March 2024, 06:54 AM

যে চেহারায় নেমে এসেছিল রাজ্যের আঁধার, সেখানেই এখন ঝলমলে রোশনাই। যে ক্যারিয়ার পড়ে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়, তা এখন ফিরেছে চেনা পথে। দিল্লি ক্যাপিটালসের অনুশীলনের প্রথম দিনে রিশাভ পান্তকে দেখা গেল হাস্যোজ্বল ও প্রাণবন্ত। ব্যাট হাতেও তিনি ঝড় তুললেন নেটে। দলের প্রাণভ্রোমরাকে এমন রূপে ফিরে পেয়ে রোমাঞ্চিত কোচ রিকি পন্টিং।

এমনিতে অনুশীলনের প্রথম দিনে নজর থাকে অনেক কিছুর দিকেই। তবে এবারের আইপিএলের আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের অনুশীলন শুরুর দিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল মূলত পান্তের দিকে। সেখানে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি, তাতে স্বস্তির পরশ লেগেছে দলে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়ানক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর দীর্ঘ লড়াই শেষে এবারের আইপিএল দিয়েই ১৫ মাস পর ক্রিকেটে ফিরবেন পান্ত। সম্প্রতি তাকে কিপিং ও ব্যাটিং, দুটির জন্যই ফিট ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।

২০২২ আইপিএলে পঞ্চম হওয়া দিল্লি ক্যাপিটালস ২০২৩ আসর শেষ করে নবম স্থানে থেকে। পারফরম্যান্সের এমন পড়তির কারণ বেশ কিছুই আছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ বলা যায় পান্তের অনুপস্থিতি।

পন্টিংয়ের কথাতেও তা ফুটে উঠল। পান্তকে ফিরে পেয়ে তার উচ্ছ্বাসও তাই ছিল অনুমিতই।

“গত বছর আমরা তার অভাব অবিশ্বাস্যরকমের অনুভব করেছি। গোটা টুর্নামেন্টই আসলে তাকে মিস করেছে। রিশাভ পান্ত দলে এতটা প্রাণশক্তি বয়ে আনে…।”

“ওর মুখের সেই হাসি ফিরে এসেছে। সবসময়ের মতোই দারুণভাবে বলে হিট করছে সে। আশপাশের সব সতীর্থকেই উজ্জীবিত করে তোলে সে।”

পন্টিংয়ের কোচিংয়ে ২০১৫ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও দিলি ক্যাপিটালস মিলিয়ে দিল্লির ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেই সাফল্য তিনি এখনও এনে দিতে পারেননি। এবার শিরোপা জিততে তাই আরও মরিয়া অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি।

“ভিন্ন অ্যাপ্রোচ থাকবে না, একইরকম থাকবে। তবে এই বছর তীব্রতা আরও বেশি থাকবে। প্রতি বছরই এখানে এসে আমি আইপিএল জয়ের কথাই বলি এবং এবারও তাতে বদল আসছে না। এবার বরং আরও বেশি করে বলব তা।”

“আমি চাই, ছেলেরা যেন পুরোপুরি সম্পৃক্ত থাকে এই লক্ষ্যে এবং এজন্যই আমরা মাঠে নামব। আমার কাজ হলো দলকে সাফল্য এনে দেওয়া। কোয়ালিফাই (প্লে অফে) করার জন্য কত ম্যাচ দরকার, স্রেফ এটা নিয়ে ভাবছি না আমরা। আইপিএল জয়ের কথা বলছি আমরা। আমরা যা-ই করি, আমাদের প্রতিটি ট্রেনিং সেশন, প্রতিটি বৈঠক, প্রতিটি রিকভারি সেশন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার প্রতিটি আলোচনা, সবকিছুতেই মিশে থাকবে কীভাবে আমরা আরও ভালো হয়ে উঠতে পারি নিজেদেরকে সেরা সুযোগটি দেওয়ার জন্য।”