জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কী করতে পারবেন কী পারবেন না, এসব নিয়ে লিখিত নিয়ম রাখা হবে বলে জানালেন বিসিবির নতুন সভাপতি।
Published : 21 Aug 2024, 08:37 PM
সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ, সামনের সময়টায় তিনি কীভাবে জাতীয় দলে খেলবেন ও অনুশীলন করবেন, এসব নিয়ে নীতিমালা ঠিক করবে বিসিবি। শুধু সাকিবই নন, সব জাতীয় ক্রিকেটারের জন্যই করণীয় ও বর্জনীয় কাজের তালিকা সুনির্দিষ্ট করে লিখিত আকারে তৈরি করা হবে বলে জানালেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ।
এবার পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে দেশে জাতীয় দলের সঙ্গে কোনো অনুশীলন করেননি সাকিব। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি ব্যস্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলায়। সেখান থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে।
এবারই প্রথম নয়, আগেও অনেকবার তিনি এই ছাড় পেয়েছেন নানা কারণে। অনেকবারই জাতীয় দলের ক্যাম্পে তিনি যোগ দেননি বা যোগ দিতে হয়নি। অনেক বার শেষ সময়ে দলে যোগ দিয়েছেন। কখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততায়, কখনও পারিবারিক কারণে তাকে আলাদাভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এভাবে তিনি পারফর্মও করেছেন অনেক সময়, কখনও কখনও পারফর্ম করতে পারেননি। তবে দলীয় শৃঙ্খলা ও একতার দিক থেকে তাকে এই ছাড় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবারই।
বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অবিসংবাদিত। তবে তার বয়স ৩৭ পেরিয়েছে বেশ আগেই। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কৌতূহল আছে অনেকের।
সেই কৌতূহলীদের একজন ফারুক আহমেদও। বিসিবি সভাপতি হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বুধবার সাবেক এই অধিনায়ক বললেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
“সাকিবের ব্যাপারটি আসলে… আগেই বলেছি, বোর্ডের কিছু পলিসি থাকবে। এটা আমি আলাপ করব যে আমাদের পলিসি কী হবে সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করব যে, সাকিব এখন ক্যারিয়ারের যে পর্যায়ে আছে, এখান থেকে সে কি চালিয়ে যেতে পারবে? পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে, এরপর কি হবে? বোর্ডের একটি পলিসি ম্যাটার হবে এটা।”
এবারের পাকিস্তান সফরের দলে সাকিবের থাকার প্রেক্ষাপট কিছুটা তুলে ধরলেন ফারুক। তবে সামনে এভাবে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন না বলেই ইঙ্গিত দিলেন নতুন বিসিবি সভাপতি।
“প্রধান নির্বাচক একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, আমার কাছে ভালো লেগেছে। তাকে যদি বোর্ড থেকে বলে দেওয়া হতো যে, ‘ওকে (সাকিব) নিও না’, তাহলে এটা পলিসির ব্যাপার হতো। তাহলে দায়িত্বটা বোর্ডের ওপর থাকত। কিন্তু সেরকম কিছু যেহেতু ছিল না, সাকিব ঢুকে গেছে ( পাকিস্তান সফরের দলে)।”
“এখন সাকিব বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে খেলতে পারবে কি না, এটা আরেকটা ব্যাপার। যেটা আমরা খুব সিরিয়াসলি দেখব।”
সাকিবের ব্যাপারটি তো আলাদা করে দেখা হবেই, পাশাপাশি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির কথা জানালেন নতুন সভাপতি। তার বিশ্বাস, এই নীতিমালা থাকলে অন্যায্য সব ব্যক্তিগত অনুরোধের দুয়ার বদ্ধ হয়ে যাবে।
‘ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কী করতে পারবে, কী করতে পারবে না, এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে ইনফরমালি আলাপ করেছি। বিশেষ করে সফর চলার সময়, সফরের আগে–পরে, বা সব মিলিয়ে জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার কী করতে পারবে, কী পারবে না, এসব আমরা দাঁড় করাতে পারি।”
“এতে একটা সুবিধা হবে, কোনো কিছু কেউ ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করতে পারবে না। যদি লেখা থাকে এরকম যে, সফর চলার সময় বা স্থানীয় খেলার সময় আপনি কোনে বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না, তাহলে ওটার অনুমতি নিতেও আসবে না কেউ। পরিষ্কার যদি করণীয় লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে। আমরা এটা করার চেষ্টা করব।”